ইউক্রেনের সেনা। গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চলছে তাদের। — ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে বন্দি ভারতীয় তরুণকে দেশে ফিরিয়ে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে ওই ভারতীয় তরুণের আটকে পড়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আদালত।
২২ বছর বয়সি সাহিল মহম্মদ হুসেন মাজোতি উচ্চশিক্ষার জন্য গত বছরের জানুয়ারিতে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে গিয়েছিলেন। সেখানে আইটিএমও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রুশ ভাষা এবং সংস্কৃতি পড়তে গিয়েছিলেন তিনি। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়েই সেখানে যান সাহিল। কিন্তু গত বছরের এপ্রিলে তাঁকে গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশ। পরে জানা যায়, ইউক্রেনের সেনার হাতে বন্দি হয়েছেন ওই ভারতীয় তরুণ।
সাহিলের মা হাসিনাবেন সামসুদিনভাই মাজোতির দাবি, তাঁর ছেলে রাশিয়ায় এক কুরিয়ার সংস্থায় ‘পার্ট-টাইম’ কাজ করতেন। সাহিলকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। এ অবস্থায় ছেলে দ্রুত দেশের ফেরানোর দাবিতে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন হাসিনাবেন। সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি সচিন দত্তের পর্যবেক্ষণ, ওই পড়ুয়াকে হয়তো জোর করে রুশ সেনায় যুক্ত করা হয়েছে।
আদালতে উপস্থিত সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, “নিশ্চয়ই তাঁকে (সাহিলকে) রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে জোর করে যোগ দেওয়ানো হয়েছে। আপনারা তাঁকে ফিরিয়ে আনার জন্য যা যা করণীয়, করুন।” এ বিষয়ে দ্রুত কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করছেন বিচারপতি। সাহিল যাতে ইউক্রেনে পর্যাপ্ত আইনি সুবিধা পায়, তা নিশ্চিত করার জন্য একজন ‘লিয়াজ়ো অফিসার’ নিযুক্ত করারও নির্দেশ দেয় আদালত। ওই আধিকারিকের দায়িত্ব থাকবে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সাহিলের আইনি সুবিধা নিশ্চিত করা।
সাহিলকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে কতটা অগ্রগতি হয়েছে, তা চার সপ্তাহের মধ্যে একটি স্টেটাস রিপোর্ট দিয়ে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৩ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।