—ফাইল চিত্র।
রাজধানীর আইটিও এলাকা থেকে ন্যাশনাল হেরাল্ডের দফতর খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে ওই প্রকাশনা সংস্থাটির প্রকাশক অ্যাসিসিয়েটেড জার্নাল লিমিটেড(এজেএল)-এর আর্জি আজ খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রটির প্রকাশক এজেএল তাদের ৯৯ শতাংশ শেয়ার সনিয়া ও রাহুল গাঁধীদের পরিচালিত সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ানের হাতে তুলে দিয়েছে। ওই লেনদেন অবৈধ ভাবে হওয়ার অভিযোগ এনে সনিয়া, রাহুলদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন বিজেপি নেতা ও সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। পাশাপাশি আইটিও-র দফতর থেকে কোনও পত্রিকা প্রকাশিত হয় না, এই যুক্তি দিয়ে এ জেএলকে দফতর খালি করতে বলেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
ন্যাশনাল হেরাল্ডের সঙ্গে ৫৬ বছরের লিজ থেকে সরে এসে গত বছরের ১৫ নভেম্বরের মধ্যে এজেএলকে ওই দফতর খালি করে দিতে নোটিস পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। এর বিরুদ্ধে এজেএল দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। গত ডিসেম্বরেই হাইকোর্টের এক সদস্যের বেঞ্চ রায় দেয়, এজেএলকে দফতর খালি করে দিতে হবে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছিল ন্যাশনাল হেরাল্ড কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আজ দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেন্দ্র মেনন ও বিচারপতি ভি কে রাওয়ের বেঞ্চও এজেএলের আর্জি খারিজ করে হাইকোর্টের পুরনো রায়কেই বহাল রেখেছে। এজেএল-এর আইনজীবী দফতর খালি করার জন্য মৌখিক ভাবে দু’সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন। কোর্ট তা-ও খারিজ করেছে।
এর আগে এই মামলার শুনানির সময়ে এজেএল-এর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি দাবি করেন, ওই সংস্থা ইয়াং ইন্ডিয়ানকে অধিকাংশ শেয়ার হস্তান্তর করেছে ঠিকই, তবে এর অর্থ এই নয় যে সনিয়া কিংবা রাহুল গাঁধীরা হেরাল্ডের বাড়িটির মালিক হয়ে গিয়েছেন। দিল্লি হাইকোর্ট অবশ্য আগেই বলেছিল, এজেএলকে ‘হাইজ্যাক’ করেছে ইয়ং ইন্ডিয়ান। কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি, ওই বাড়িটিতে প্রকাশনার কোনও কাজ হচ্ছিল না, বাণিজ্যিক স্বার্থেই একে ব্যবহার করা হচ্ছিল।