রবার্টের জামিন খারিজের আর্জি

ভোটের আগে রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে জানিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কার স্বামী রবার্ট। বিরূপ প্রতিক্রিয়া এবং শাসক শিবিরের আক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় কংগ্রেস তখন তা চায়নি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৯ ০৩:৫০
Share:

—ফাইল চিত্র।

দিল্লি হাইকোর্টে আজ রবার্ট বঢরার আগাম জামিন খারিজের আর্জি জানাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গত কালই লোকসভা ভোটের ফল বেরিয়েছে। তাতে একেই কংগ্রেস বিপর্যস্ত, উপরন্তু গাঁধী পরিবারের গড় অমেঠীও হাতছাড়া। বিজয়ী শিবিরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। কিন্তু রাত পোহাতেই প্রমাণ মিলল, গাঁধীদের বিরুদ্ধে একই রকম তৎপর নরেন্দ্র মোদীর প্রশাসন।

Advertisement

ভোটের আগে রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে জানিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কার স্বামী রবার্ট। বিরূপ প্রতিক্রিয়া এবং শাসক শিবিরের আক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় কংগ্রেস তখন তা চায়নি। তা সত্ত্বেও রাহুলের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ে অমেঠীতে সঙ্গী হয়েছিলেন রবার্ট। অমেঠীতে দাদার জন্য প্রচারে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু ফল ঘোষণার পরে কংগ্রেস এখন হারের ধাক্কা সামলাতেই ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে রবার্ট আজ কংগ্রেস শিবিরে কিছুটা উৎসাহ ফেরাতে মাঠে নামেন। সকাল ৯টা ৩৫-এ টুইট করেন, ‘‘হার ও জিত জীবনের অঙ্গ। কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীদের শুভেচ্ছা। নির্বাচনে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। সন্দেহ নেই, এটা (এই ফল) মন খারাপ করে দেওয়ার মতো। কিন্তু লড়াইটা চলতে থাকুক।’’ এই টুইটেরই শেষে রবার্ট যোগ করেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি এবং এনডিএ-কে অভিনন্দন জানাই।’’

এর কিছু পরেই মোদী সরকারের ‘জবাব’ পৌঁছে গেল দিল্লি হাইকোর্টে। তদন্তে ‘সহযোগিতা না-করা’ ও ‘এড়িয়ে যাওয়া’র অভিযোগ এনে রবার্টের আগাম জামিন খারিজ করার আর্জি পেশ করলেন ইডি-র আইনজীবী ডি পি সিংহ। যার মূল বক্তব্য, রবার্ট জামিনে মুক্ত থাকলে তদন্তের ক্ষতি হবে। লন্ডনের ১২, ব্রায়ানস্টন স্কোয়ারে ১৯ লক্ষ পাউন্ড মূল্যে একটি বাড়ি কেনার জন্য কালো টাকার লেনদেনের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে রবার্ট ও তাঁর সহযোগী মনোজ অরোরার বিরুদ্ধে। যার সূত্রে ভোটের আগে দফায় দফায় ইডির দফতরে হাজির হয়ে দীর্ঘ সময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হয়েছিলেন রবার্ট। গত ১ এপ্রিল নিম্ন আদালত তাঁর আগাম জামিন মঞ্জুর করে জানায়, আপাতত বিদেশে যাওয়া চলবে না। দিন তিনেক আগে রবার্ট বিদেশযাত্রার অনুমতি চেয়ে একটি আবেদন পেশ করেছেন নিম্ন আদালতে। সেটা এখনও ওই আদালতের বিবেচনাধীন। আজ ইডি-র বক্তব্য, ‘‘রবার্ট বঢরা খুবই প্রভাবশালী। তাঁকে মুক্ত রাখা হলে তিনি প্রমাণে হেরফের ও সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। নিম্ন আদালতের বিশেষ বিচারক বিষয়টি বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।’’

Advertisement

রবার্টের সঙ্গে মনোজ অরোরার আগাম জামিনও খারিজ করার আর্জি জানিয়েছে ইডি। তাদের বক্তব্য, হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ নিয়ে আয়কর দফতরের ২০১৬-র ২২ নভেম্বরের নোটিসের ভিত্তিতে বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। বারবার সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও রবার্ট সন্দেহ নিরসন করতে পারেননি। উল্টে দাবি করেছেন, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আর্জিটি নিয়ে আগামী সোমবার শুনানি হতে পারে দিল্লি হাইকোর্টে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন