Delhi High Court

প্রাক্তন স্ত্রীর প্রথম পক্ষের সন্তানের খরচ বইতে হবে স্বামীকেই, রায় দিল্লি হাই কোর্টের

বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তানের ভরণপোষণ এড়াতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন এক ব্যক্তি। আদালত জানায়, স্ত্রীর আগের পক্ষের সন্তান রয়েছে জেনে বিবাহে সম্মত হয়েছিলেন তিনি। তাই সেই সন্তানের দায় এড়ানো যাবে না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৩ ১১:২১
Share:

প্রাক্তন স্ত্রীর পূর্বতন বিবাহের সন্তান বলে তার প্রতি দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না বিবাহবিচ্ছিন্ন স্বামী। প্রতীকী ছবি।

বিবাহবিচ্ছেদের পর প্রাক্তন স্ত্রীর সন্তানদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে স্বামীকেই। প্রাক্তনের পূর্বতন বিবাহের সন্তান বলে তার প্রতি দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না বিবাহবিচ্ছিন্ন স্বামী। একটি মামলায় সম্প্রতি এমনটাই রায় দিল দিল্লি হাই কোর্ট।

Advertisement

বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তানের ভরণপোষণ এড়াতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবা এবং বিকাশ মহাজনের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্ত্রীর আগের বিবাহে সন্তান রয়েছে জেনেই বিবাহে সম্মত হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। বিচ্ছেদের পর তাই সেই সন্তানদের দায়িত্বের ভার তাঁকেও নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে, অন্য কোনও যুক্তিই গ্রাহ্য হওয়া উচিত নয় বলে জানায় আদালত।

মামলাকারীর বিবাহবিচ্ছিন্না স্ত্রীর দুই কন্যা রয়েছে। তার মধ্যে এক জন তাঁর প্রথম পক্ষের স্বামীর সন্তান, অন্য জন দ্বিতীয় পক্ষের অর্থাৎ মামলাকারীর সন্তান। পারিবারিক আদালতে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। বিচারক রায় দিয়েছিলেন, দুই কন্যার জন্যই প্রথম ৫ বছর মাসে মাসে ২৫০০ টাকা করে এবং পরবর্তী ৫ বছর মাসে মাসে ৩৫০০ টাকা করে দিতে হবে মামলাকারীকে।

Advertisement

এ ছাড়া, দুই কন্যা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত, অথবা তাঁদের বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত ৫০০০ টাকা করে তাঁদের দিতে হবে বলেও জানিয়েছিল পারিবারিক আদালত। মামলাকারী এই রায়ে কিছু সংশোধন চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য, তাঁর স্ত্রীর প্রাক্তন স্বামী সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর স্ত্রীর প্রথম পক্ষের সেই কন্যার ভরণপোষণ করে সেনাবাহিনীই। এ ছাড়া, নিহত ওই সেনাকর্তার এক আত্মীয়ও তাঁর খরচ বহন করেন। ফলে তাঁর জন্য বাড়তি খরচের প্রয়োজন নেই।

দিল্লি হাই কোর্ট গত ১ মার্চ এই মামলার রায় দেয়। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, যদি ওই মহিলা জানতেন যে তাঁর দ্বিতীয় স্বামী তাঁর প্রথম পক্ষের সন্তানের দায়িত্ব নেবেন না, তা হলে হয়তো তিনি তাঁকে বিবাহও করতেন না। ফলে প্রথম পক্ষের কন্যার রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন নেই বলে মামলাকারী হাত গুটিয়ে নেবেন, তা হতে পারে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন