প্রতীকী চিত্র।
প্রথম স্ত্রী-র বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এই সন্দেহে প্রথমে ব্যাপক মার এবং তার পরে মারের চোটে স্ত্রীর মৃত্যু হলে কড়াত্ দিয়ে তার মাথা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। দিল্লির মধু বিহারের এই ঘটনায় অভিযুক্ত সুবোধ কুমারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পেশায় কলের মিস্ত্রি সুবোধ নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী-র সঙ্গে মধু বিহার এলাকায় থাকত। প্রথম স্ত্রী মনীষা তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন দিল্লির শাকুরপুর এলাকায়। পুলিশি জেরায় সুবোধ জানায়, মনীষার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে অনেক দিন ধরেই সন্দেহ ছিল তার। সেই বিষয়ে আলোচনা করতে চলতি মাসের ১০ তারিখ রাতে মনীষাকে তার মধু বিহারের বাড়িতে ডেকে পাঠায় সুবোধ। মনীষা বাড়ি আসতেই শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার। পুলিশ সূত্রে খবর, দ্বিতীয় স্ত্রী মুনিয়া এবং সন্তানদের সামনেই লাঠি দিয়ে ক্রমাগত মনীষাকে মারতে থাকে সুবোধ। মুনিয়া বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরও শাসাতে থাকে সুবোধ। মারের চোটে মনীষা অজ্ঞান হয়ে গেলে তাঁকে বাড়িতেই ফেলে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে এক হাতুড়ে চিকিত্সককে ডেকে আনে সুবোধ। সেই চিকিত্সক চলে যাওয়ার পর মনীষাকে ফের এক দফা মারধর করে সুবোধ। কিছু ক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর।
আরও পড়ুন: বিশ্বের নৃশংসতম ১০ সিরিয়াল কিলার এরা
সুবোধের দাবি, এর পরেই মনীষার দেহ লোপাটের সিদ্ধান্ত নেয় সে। প্রথমে কড়াত্ দিয়ে মাথা কেটে খাটের তলায় রেখে দেয় সে। এই ভাবে দেহের বাকি অংশও কেটে দেহ লোপাটের মতলব ছিল তার। কিন্তু দিন দু’য়েক পরে বাড়ি থেকে বিকট গন্ধ বের হওয়ায় প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। উদ্ধার হয় মনীষার দ্বিখণ্ডিত দেহ।
সুবোধের দাবি, মনীষাকে খুনের কোনও মতলব ছিল না তার। রাগের মাথায় এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে সে। তবে পুলিশ সে দাবি মানতে নারাজ। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “এই ধরনের ভয়ঙ্কর ঘটনা সাধারণত আগে থেকে প্ল্যান করেই হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে আমাদের সন্দেহ। সুবোধ ছক কষেই প্রথম স্ত্রী-কে ডেকে এনেছিল। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। দিন কয়েকের মধ্যেই প্রকৃত তথ্য জানা যাবে।”