দেশ জুড়ে খরা ও খরা-পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তার মধ্যেই বর্ষার পূর্বাভাস দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আজ, মঙ্গলবার বর্ষার ব্যাপারে প্রথম দফার পূর্বাভাস দেবেন মৌসম ভবনের ডিজি লক্ষ্মণ সিংহ রাঠৌর। তাতে দেশবাসীর জন্য কতটা সুখবর থাকে, সেই দিকে তাকিয়ে সকলেই।
সাধারণত এপ্রিল ও জুন, দু’দফায় বর্ষার পূর্বাভাস দেয় মৌসম ভবন। তবে বর্ষার মতিগতির মূল সুর বাঁধা থাকে এপ্রিলের বার্তাতেই। ঘোষণার আগে পর্যন্ত এই রিপোর্ট গোপন রাখা হয়। সেই জন্য সরকারি পূর্বাভাসে ঠিক কী রয়েছে, তা নিয়ে কোনও মন্তব্যে রাজি নন কেউ। তবে আবহবিদদের একাংশ বলছেন, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার রিপোর্টে স্বাভাবিক বর্ষার কথাই বলা হয়েছে।
গত বছর দেশে বর্ষায় স্বাভাবিকের থেকে কম বর্ষণ হয়েছিল। চলতি খরা তারই ফল, বলছেন আবহবিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, গত বছর বর্ষার মরসুমে প্রশান্ত মহাসাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি (এল নিনো) শুরু হয়েছিল। তার জেরে বর্ষায় ঘাটতি থেকে যায়। বহু রাজ্যে খরার অন্যতম কারণ সেটাই। পরবর্তী কালে এল নিনো আরও জোরালো হওয়ায় আবহাওয়ার ছন্দ বিগড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি এল নিনোর তেজ কমেছে। তার ফলে বর্ষার উপরে তার প্রভাব কমতে পারে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।