National Herald Case

সনিয়া, রাহুলের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু দিল্লি পুলিশের! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডির অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ

এফআইআরে রাহুল, সনিয়া ছাড়াও নাম রয়েছে কংগ্রেস নেতা সুমন দুবে, স্যাম পিত্রোদার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ১১:০৬
Share:

(বাঁ দিকে) সনিয়া গান্ধী। রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস সাংসদ সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করল দিল্লি পুলিশ। এই মামলায় টাকা তছরুপের তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর রুজু করেছে দিল্লি পুলিশ। সূত্রে খবর, সনিয়া এবং রাহুল ছাড়াও আরও সাত জনের বিরুদ্ধে ৩ অক্টোবর মামলা রুজু করে তারা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৪০৩ (অসৎ ভাবে সম্পত্তি আত্মসাৎ), ৪০৬ (বিশ্বাসভঙ্গের শাস্তি), ৪২০ (প্রতারণা) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এফআইআরে রাহুল, সনিয়া ছাড়াও নাম রয়েছে কংগ্রেস নেতা সুমন দুবে, স্যাম পিত্রোদার। সেই সঙ্গে কিছু সংস্থা, সংগঠনের নামও রয়েছে এফআইআরে। যেমন ইয়ং ইন্ডিয়ান, ডটেক্স মার্চেন্ডাইস লিমিটেড, ডটেক্সের প্রোমোটার সুনীল ভাণ্ডারি, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নাল লিমিটেড এবং অজ্ঞাত পরিচয় কয়েক জন।

ইডি গত এপ্রিলে চার্জশিট জমা করেছিল আদালতে। সেখানেও নাম রয়েছে সনিয়া, রাহুল-সহ বাকিদের। সেই চার্জশিট এখনও গ্রহণ করেনি আদালত। আগামী ১৬ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি। কংগ্রেস ইডির তদন্ত নিয়ে আগেই আঙুল তুলেছে। অভিযোগ করেছে, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এ সব করা হচ্ছে।

Advertisement

জওহরলাল নেহরুর হাতে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র নিয়ে ২০১৩ সালে মনমোহন সিংহের জমানাতেই প্রথম দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়। এর মূলে ছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর অভিযোগ ছিল, এজেএল নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে কোটি কোটি টাকার দেনা ছিল তাদের। যার বেশির ভাগটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া। ২০০৮ সালে সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। সেই অবস্থাতেই সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে সনিয়া, রাহুল এবং শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থা। এর পর ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ানের দখলে চলে আসে। কোটি কোটি টাকা দেনার বোঝাও চাপে তাদের ঘাড়ে। এর কিছু দিন পর ‘দেনার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয়’ বলে কারণ দেখিয়ে কংগ্রেসের তরফে ঋণের টাকা মকুব করে দেওয়া হয়। সেই নিয়েই আপত্তি তোলেন স্বামী। তদন্তে নামে ইডি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement