যমুনা নদীর উপর তৈরি হয়েছে এই সেতু। ছবি: পিটিআই।
এই শীতেই যমুনা বিহারে যেতে পারবেন দিল্লিবাসী। নদীর উপরে দাঁড়িয়ে নিজস্বীও তোলা যাবে ইচ্ছা মতো। তবে তার জন্য লাগবে না নৌকো বা স্টিমার। নিতে হবে না জীবনের ঝুঁকি। বরং পায়ে হেঁটেই নদীর বুকে ঘুরে বেড়াতে পারবেন তাঁরা। সোমবার থেকে মিলবে সেই সুযোগ। কারণ ওই দিনই খুলে যাচ্ছে ‘সিগনেচার ব্রিজ।’ রবিবার তার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। দেখানো হবে একটি লেজার শো-ও।
৬৭৫ মিটার দীর্ঘ এবং ৩৫.২ মিটার প্রশস্ত সেতুটি। আজ থেকে ১৪ বছর আগে আধুনিক প্রযুক্তিতে সেটির নির্মাণ শুরু হয়েছিল। তবে দীর্ঘ টালবাহানার পর এতদিনে সেটির নাগাল পেতে চলেছেন সাধারণ মানুষ। ভারতের প্রথম ‘অ্যাসিমেট্রিক্যাল কেবল স্টেইড’ প্রযুক্তিতে তৈরি সেতু এটি। বুমেরাঙের আকারে ১৫টি কেবল লাগানো হয়েছে সেতুটিতে। যা ৩৫০ মিটার সেতুর ওজন ধরে রেখেছে। তাও আবার কোনও থামের সাহায্য ছাড়া।
প্রধান যে থামটি রয়েছে, তার উচ্চতা ১৫৪ মিটার। তার উপরের অংশের চারিদিক কাচ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে জাহাজের পাটাতনের মতো একটি জায়গা গড়া হয়েছে। লিফটে চড়ে সেখানে পৌঁছতে পারবেন সাধারণ মানুষ। উপর থেকে গোটা শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। রাজধানীর আর কোনও জায়গায় দাঁড়িয়ে যা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: সিবিআই প্রধানের ‘অপসারণ’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেস
আরও পড়ুন: ‘এই সম্পর্ক বয়ে নিয়ে যাওয়াটা অর্থহীন’, জল্পনা উড়িয়ে বললেন তেজপ্রতাপ
তবে উপরে দাঁড়িয়ে রাজধানীর সৌন্দর্য দেখার সুযোগ মিলবে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি থেকে। কারণ তার জন্য যে চারটি লিফট তৈরি হচ্ছে, সেগুলি চালু হতে সময় লাগবে আরও দু’মাস। যার পর একসঙ্গে ৫০ জনকে উপরের এই পাটাতনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। সেতুর উপর রয়েছে বিশেষ নিজস্বী তোলার জায়াগাও। যাতে সেখানে বেড়াতে যাওয়ার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করতে পারেন পর্যটকরা।
সেতুটি চালু হলে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিল্লির মধ্যে যাতায়াতের সময় বাঁচবে। যানজট কমবে ওয়াজিরাবাদ সেতুর। মূলত যে কারণে নয়া সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর উপর অবস্থিত সঙ্কীর্ণ ওয়াজিরাবাদ সেতুতে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে। তাতে মৃত্যু হয় ২২ স্কুল পড়ুয়ার। যার পর যমুনার উপর আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি একটি প্রশস্ত সেতু গড়ার পরিকল্পনা নেয় তৎকালীন দিল্লি সরকার। তবে কাজ শুরু হয় তার ৬ বছর পর, ২০০৪ সালে।