delhi

পড়ুয়াদের স্মরণশক্তি বাড়াতে ইঞ্জেকশন, দিল্লিতে গ্রেফতার হলেন তরুণ শিক্ষক

গ্রেফতার হওয়া যুবকের বয়স ২০। তিনি নিজে স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পূর্ব দিল্লির মান্ডওয়ালিতে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পড়াতেন বিনামূল্যে।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১১:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

পড়ানোর পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের স্মরণশক্তিরও দেখভাল করতেন শিক্ষক। যা পড়াচ্ছেন, তা যাতে বৃথা না যায়, তার ব্যবস্থা করতেন নিজে হাতে। পড়ুয়াদের স্মরণশক্তি বাড়াতে তাঁদের স্যালাইনের ইঞ্জেকশন দিতেন ওই শিক্ষক। ব্যাপারটা ইউটিউবের একটি ভিডিয়ো দেখে শিখেছিলেন তিনি। তারপর তা প্রয়োগ করতে শুরু করেন নিজের ছাত্র ছাত্রীদের উপরই। দিল্লির ওই শিক্ষককে রবিবার গ্রেফাতার করেছে দিল্লি পুলিশ।

Advertisement

গ্রেফতার হওয়া যুবকের বয়স ২০। তিনি নিজে স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পূর্ব দিল্লির মান্ডওয়ালিতে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পড়াতেন বিনামূল্যে। তবে পড়ানোর ফাঁকে ছাত্র-ছাত্রীদের গিনিপিগ বানিয়ে যে এমন পরীক্ষামূলক ‘গবেষণা’ও চালাতেন, তা সামনে এল এক ছাত্রের ইঞ্জেকশন সমেত ধরা পড়ার পর।

পুলিশ জানিয়েছে, সন্দীপ নামে ওই শিক্ষকের এক ছাত্রকে বাড়িতে ইঞ্জেকশন নিতে দেখেন তাঁর বাবা-মা। এর পরেই পুলিশকে তাঁরা জানান ঘটনাটি। এরপরই সন্দীপকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পূর্ব দিল্লির ডিএসপি দীপক যাদব জানিয়েছেন, ‘‘ছাত্রদের স্মরণশক্তি বাড়াতে তাঁদের উপর নরমাল স্যালাইন সলিউশনের ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করত সন্দীপ। পুলিশকে সে জানিয়েছে, ইউটিউবে এবিষয়ে একটি ভিডিয়ো দেখেছিল সে। কমবয়সীদের স্যালাইনের ইঞ্জেকশন দিলে যে তাঁদের স্মৃতিশক্তির উন্নতি হয়, তা বলা ছিল ওই ভিডিয়োতেই।’’

Advertisement

যাদব জানিয়েছেন, ‘‘সন্দীপের ছাত্রদের শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। তাঁরা যাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পান, তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৩৬ ধারায় (প্রাণ বিপন্ন করা) মামলা দায়ের হয়েছে সন্দীপের বিরুদ্ধে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন