গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
নিয়মিত ঠাট্টা করত দুই দাদা, চলত মারধরও। তা-ও আবার গ্রামবাসীদের সামনে। সেই আক্রোশ থেকেই দুই তুতো দাদাকে খুন করার অভিযোগ উঠল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে।
হরিয়ানার সোনিপতের বাসিন্দা আশু নামে বছর কুড়ির ওই তরুণকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুন ছাড়াও বেআইনি অস্ত্র রাখার জন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে তাঁর নামে। দিল্লির নাজাফগড় এলাকায় তিনি আত্মীয়ের বাড়ি এসেছিলেন, সেখানেই ঘটে ঘটনাটি। নাজাফগড় থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দ্বারকার ডিসিপি আন্তো আলফোন্স বলেন, অভিযুক্ত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্বামী শ্রদ্ধানন্দ কলেজের ছাত্র।তিনি বলেন, ‘‘কলেজে এসেই অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ওই যুবকের।ওরাই অনেকে মিলে ছেলেটির তুতো দাদা আশিসকে প্রতিশোধের পরিকল্পনা করে তাঁরা। তারা জোগাড় করে একটি ৭.৬৬ এমএম পিস্তলও।’’ পুলিশ রোহিত, মান্নু, সন্দীপ, অরুণ এবং কার্তিক নামে পাঁচ যুবককে খুঁজছে।
আরও পড়ুন: ওষুধ-দুর্নীতির জেরে অন্তর্ঘাতেই কি আগুন মেডিক্যালে
২০১৭ সালে একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে অভিযুক্তকে হেনস্থা করেছিলেন তুতো দাদারা। গ্রামের সকলের সামনে বিভিন্ন কারণে তাঁকে নিয়ে ঠাট্টাও করা হয়।তার পর থেকে মাঝেমধ্যেই তাঁকে হেনস্থা করা হত বলে অভিযোগ। তার পর থেকেই পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে দাদাকে খুনের পরিকল্পনা করেন অভিযুক্ত।
নিজের বাড়িতেই গুলি করে খুন করা হয় আশিসকে। তাঁকে বাঁচাতে এসে গুলিতে প্রাণ হারান আশিসের ভাই হিমাংশু।
আরও পড়ুন: নাগেরবাজার তদন্তে সিআইডি, কিছুই সন্দেহজনক ‘দেখেননি’ অজিতের বোন
কোথা থেকে বেআইনি অস্ত্র জোগাড় করলেন এই কলেজ ছাত্ররা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।