অরবিন্দ কেজরীবাল
কলকাতার মতো এ বার দিল্লিতেও বিতর্ক লন্ডন নিয়ে।
মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, কলকাতাকে লন্ডন বানাতে চান তিনি। তা নিয়ে কম ব্যঙ্গবিদ্রুপ করেননি বিরোধীরা। অরবিন্দ কেজরীবাল এ বার একই প্রতিশ্রুতি দিলেন দিল্লির পুরভোটের আগে। দিল্লির ৩টি পুরসভার নির্বাচন এপ্রিলে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিল্লি— বিজেপির দখলে থাকা এই তিন পুরসভায় আপ জিতলে এক বছরে দিল্লিকে লন্ডন বানিয়ে দেবেন।
এমনিতেই তিনি মমতার যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর মুখে তাঁরই কথার প্রতিধ্বনি শুনে অনেকেই বলছেন, এ হল ভাইয়ের উপর দিদির প্রভাব। লন্ডনের স্বপ্ন দেখিয়ে মমতার মতো কেজরীবালও পড়েছেন আক্রমণের মুখে। কংগ্রেসের পি চিদম্বরমের কটাক্ষ, ‘‘দিল্লিকে লন্ডন বানাবেন! দিল্লির মেয়রকে এর পর কি লর্ড মেয়র বলতে হবে?’’
রাজধানী শহর হলেও তিনটি পুরসভাই আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকছে। এই সমস্যার সমাধানে কংগ্রেস কী করবে, তা নিয়ে দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয় মাকেন আজ চিদম্বরম ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার তৈরি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। রাহুল গাঁধী কাল রামলীলা ময়দানে দিল্লির কংগ্রেস কর্মীদের সম্মেলন ডেকেছেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি-আপ ছায়াযুদ্ধের জেরে ভুগছে দিল্লি। রাজধানী শহর হয়েও বাড়ছে নাগরিক সমস্যা। কেজরীবাল অবশ্য দাবি করেছেন, মধ্যপ্রদেশ-ছত্তীসগঢ়ে বিজেপি সরকার ১০-১৫ বছরে যা পারেনি, তিনি দু’বছরে সেই সব কাজ করেছেন। জল ও বিদ্যুতের বিল অর্ধেক করার মতো সব প্রতিশ্রুতিই পূরণ করেছে আপ।