Delhi stabbing

দম্পতিকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন প্রতিবেশীর, ভিডিয়ো তুললেন অন্যরা

এক ব্যক্তি উল্টে পড়ে রয়েছেন বাড়ির সামনে, পেট থেকে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে, ঝুলছে অন্ত্রের অংশ। ছুরি দিয়ে একের পর এক কোপানো হয়েছে তাঁকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:০১
Share:

মৃত ব্যক্তি ও ঘটনার সেই ছবির ভিডিয়ো থেকে নেওয়া স্ক্রিন শট । ছবি টুইটার থেকে

এক ব্যক্তি উল্টে পড়ে রয়েছেন বাড়ির সামনে, পেট থেকে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে, ঝুলছে অন্ত্রের অংশ। ছুরি দিয়ে একের পর এক কোপানো হয়েছে তাঁকে। কোপানো হয়েছে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকেও। হামলা চালিয়েছেন এক প্রতিবেশীই। সেই ঘটনার ছবিও তুলেছেন পাড়ার অনেকে। তবে বাধা দিতে এগিয়ে এলেন না কেউ। ঘটনায় মৃত্যু হল ওই ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রীর।

Advertisement

পশ্চিম দিল্লির খ্যালা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মহম্মদ আজাদ নামে ওই ব্যক্তি বারংবার ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকেন বীরু নামে ওই ব্যক্তিকে। শুধুই বীরুই নন, বীরুর স্ত্রী বছর পঁয়ত্রিশের সুনীতা ও বছর আঠারোর ছেলে আকাশকেও আক্রমণ করেন আজাদ।

Advertisement

ছোট একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের বচসা শুরু। সুনীতার মেয়ের একটি বোতল হাত থেকে পড়ে যায়, ব্যালকনি থেকে তা এসে পড়ে আজাদের গায়ে। ছুরি হামলায় অভিযুক্ত আজাদ সেই মুহূর্তে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

মৃত সুনীতা ও তাঁর ছেলে আকাশ। ছবি টুইটার থেকে সংগৃহীত।

সুনীতার সঙ্গে আজাদের বচসা হয়েছিল বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ। সুনীতা এরপর তাঁর স্বামী ও ছেলেকে ঘটনার কথা জানান। বাড়ি থেকে বীরু ও আকাশ বেরোনো মাত্রই আজাদ ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁদের উপরে।

আরও পড়ুন: এক মাস পর মেঘালয়ের খনিতে মিলল এক শ্রমিকের দেহের খোঁজ​

বীরু-সুনীতার ছেলে আকাশকে প্রথম আক্রমণ করেন আজাদ। ছেলেকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে দেখেই বাধা দেন বীরু ও সুনীতা, জানান স্থানীয় থানার পুলিশ অফিসার। তিনি বলেন, পুরো ঘটনাটি ঘটে প্রকাশ্যেই। এই ঘটনায় আট বছরের শিশুকন্যাটি একমাত্র বেঁচে গিয়েছে। তাঁর সামনেই ঘটে ঘটনাটি।

ঘটনায় পর গুরুগোবিন্দ সিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বীরু ও আকাশকে। সুনীতাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরে প্রাণ হারান বীরুও। আকাশ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।

আরও পড়ুন: ভোরবেলায় দুরন্ত এক্সপ্রেসে ডাকাতি, ১৫ মিনিটেই লুঠ দু’টি এসি কামরা

ছুরি হামলার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন প্রতিবেশীরা। কেউ কেউ ভিডিয়োও তোলেন। চিৎকার করতে থাকেন, কিন্তু বাধা দিতে কেউই এগিয়ে আসেননি।রক্তাক্ত অবস্থায় আজাদকে দেখে তাঁর বাড়ির লোকজন পাড়া ছেড়েছেন ইতিমধ্যেই। অনলাইনেও কেউ কেউ তা আপলোড করেন।

আজাদ পরে এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন