চা বাগানে মজুরি বৃদ্ধির দাবি

চা শ্রমিকদের মজুরিতে বরাক-ব্রহ্মপুত্র বৈষম্য এ বারও দূর হচ্ছে না। সরকারকে রাজি করানো গেলেও বরাক চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিকপক্ষের মধ্যে গোপন বোঝাপড়া হয়েছে— এমনই অভিযোগ করেছে সিআইটিইউ পরিচালিত অখিল ভারতীয় চা মজদুর সঙ্ঘের কাছাড় জেলা কমিটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:২৭
Share:

চা শ্রমিকদের মজুরিতে বরাক-ব্রহ্মপুত্র বৈষম্য এ বারও দূর হচ্ছে না। সরকারকে রাজি করানো গেলেও বরাক চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিকপক্ষের মধ্যে গোপন বোঝাপড়া হয়েছে— এমনই অভিযোগ করেছে সিআইটিইউ পরিচালিত অখিল ভারতীয় চা মজদুর সঙ্ঘের কাছাড় জেলা কমিটি। সভাপতি চূণীলাল ভট্টাচার্য ও সম্পাদক গোপাল ভূমিজ আজ বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে বরাকে যখন চা শ্রমিকরা ৭৫ টাকা মজুরি পাচ্ছিলেন, ব্রহ্মপুত্রে ছিল ৯৪ টাকা। এখন ব্রহ্মপুত্রের শ্রমিকরা ১১৫ টাকা পাচ্ছেন, বরাকে কত হবে এ নিয়ে দর কষাকষি চলছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে কংগ্রেস সমর্থিত বরাক চা শ্রমিক ইউনিয়ন।’’ চূণীবাবুরা জানান, বন্দুকমারা বাগানে মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে শ্রমিক ইউনিয়ন ৯০ টাকা মজুরিতে রাজি হয়ে গিয়েছে। এতে বাগানটিতে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শ্রমিকরা অসন্তুষ্ট। তাঁদের কথায়, ‘‘ব্রহ্মপুত্রেও এই সময়ে ১১৫ টাকা চলতে পারে না।’’ তাঁরা জানান, রাজ্য সরকার সমস্ত শ্রমিক-মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করে মজুরি-খসড়া তৈরি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, অসমে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১৪৩ টাকা ৫০ পয়সা। রেশন, চা, রান্নার কাঠ ইত্যাদি মিলিয়ে অঙ্কটি দাঁড়াবে ১৭৭ টাকা ১৯ পয়সা। এই ন্যূনতম মজুরি ব্রহ্মপুত্র ও বরাক উভয় উপত্যকায় কার্যকর হবে। ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দাবি-আপত্তি-পরামর্শের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বাম নেতাদের কথায়, এই সময়ে মজুরি নির্ধারণ নিয়ে উঠে-পড়ে লাগার কোনও যুক্তি নেই। শ্রমিক ইউনিয়ন আসলে মালিক পক্ষের সঙ্গে গোপন সমঝোতার জন্যই এখন দর কষাকষি করছে। এই অবস্থায় ইউনিয়নের হুঁশিয়ারি, তাঁরা কোনও মতেই সরকারি হারের চেয়ে কম মজুরি মানবেন না। বরাক-ব্রহ্মপুত্রে এক মজুরি চালু করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলবেন। সিআইটিইউ নেতা দুলাল মিত্র, মানবেন্দ্র পৈত্য, নরেশ ভূমিজও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের দ্বিচারিতার সমালোচনায় মুখর হন। তাঁরা বলেন, ‘‘খসড়ায় সরকার যে হার স্থির করেছে, তাতেও শ্রমিকদের বেঁচে থাকা কষ্টকর।’’ তাঁদের দাবি ছিল, ৩৩৩ টাকা হোক চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি। এ ছাড়া, সপ্তাহে একদিন সবেতন ছুটি, পূর্ণ মজুরির ওপর বোনাস আদায়েও আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে অখিল ভারতীয় চা মজদুর সঙ্ঘের কর্মকর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন