সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়তে নেমে বারবার মানবাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ উঠছে নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে উত্তর-পূর্বে মোতায়েন সব নিরাপত্তাবাহিনীকে সতর্ক করল কেন্দ্র।
সম্প্রতি মেঘালয়ের শিলংয়ে উত্তর-পূর্ব ডিজিপি সম্মেলনে ডিজিপি, আইজিপিদের সঙ্গে বিএসএফ, সিআরপি, এসএসবি, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাকর্তারা বৈঠক করেন।
বৈঠকে মানবাধিকার কমিশনের পাঠানো রিপোর্ট তুলে ধরে বলা হয়— পুলিশের আধুনিকীকরণের নামে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হলেও তার ফল আশাব্যঞ্জক হচ্ছে না। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির পুলিশ ও আধাসেনার বিরুদ্ধে মানবাধিকার ভঙ্গের অনেক রিপোর্ট জমা পড়েছে। সব চেয়ে বেশি রিপোর্ট এসেছে মণিপুর ও মেঘালয়ের বিরুদ্ধে।
আসাম রাইফেলসের এক কর্তা জানান, মানবাধিকার ভঙ্গের বিষয়টি আলোচনার মূল বিষয় তালিকায় ছিলই না। বরং আলোচনায় প্রধান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন জঙ্গি দলের গাঁটছড়া ভাঙতে নিরাপত্তাবাহিনীগুলির যোগাযোগ ও বোঝাপড়া বৃদ্ধির উপর। কিন্তু সেই প্রসঙ্গেই মানবাধিকারের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়।
কেন্দ্রের অভিযোগ, গ্রামের মানুষদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, স্থানীয় আবেগ বোঝা ও আগাম গোপন খবর পাওয়ার ক্ষেত্রেও গাফিলতি থেকে যাচ্ছে। মানবাধিকার ভঙ্গ ও ভুয়ো এনকাউন্টারের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় অসম, মেঘালয়, মণিপুর সরকারকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে। মণিপুরে নিরাপত্তাবাহিনীর উপরে হওয়া তিনটি আক্রমণের ঘটনা তুলে ধরে বৈঠকে জঙ্গি গতিবিধির আগাম খবর পাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ ও আধা সেনা গোয়েন্দাদের ব্যর্থতারও সমালোচনা করা হয়।