Dera Sacha Sauda

বেআইনি ভাবে ডেরা থেকে লাশ পাচার হত হাসপাতালে!

তখন হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগে ছিল মাত্র একটি দেহ। সে জন্য ওই হাসপাতাল সম্পর্কে খারাপ রিপোর্টও দিয়েছিল কাউন্সিল। ২ বছরের জন্য তাদের পড়ুয়া ভর্তি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কারণ, গবেষণাগারে কমপক্ষে ১৫টি দেহ থাকার নিয়ম।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৭:১৮
Share:

তল্লাশি অভিযান চালানোর আগে গোটা এলাকা নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

ডেরা সচ্চা সৌদা থেকে লাশ পাচার করা হত বেসরকারি হাসপাতালে!

Advertisement

এ বার এমনই অভিযোগ সামনে এল। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। গড়া হয়েছে তদন্ত কমিটিও। ইতিমধ্যেই ডেরা সচ্চা আশ্রমের বহু কর্মীকে খুন করে সেখানেই মাটিচাপা দেওয়া খবর রয়েছে পুলিশের কাছে। এ বার মৃতদেহ পাচারের খবর প্রকাশ্যে আসায় সেই খুনের অভিযোগ আরও মজবুত হল বলে মনে করা হচ্ছে।

মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (এমসিআই) সূত্রে খবর, মাস আটেক আগে লখউয়ের জিসিআরজি ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তাদের প্রতিনিধিরা। তখন হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগে ছিল মাত্র একটি দেহ। সে জন্য ওই হাসপাতাল সম্পর্কে খারাপ রিপোর্টও দিয়েছিল কাউন্সিল। ২ বছরের জন্য তাদের পড়ুয়া ভর্তি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কারণ, গবেষণাগারে কমপক্ষে ১৫টি দেহ থাকার নিয়ম।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘বাবা’র ডেরায় মিলল গোপন সুরঙ্গ, বিস্ফোরক তৈরির কারখানা

কিন্তু, গত ১৬ অগস্ট ওই বেসরকারি হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ কাউন্সিল কর্তাদের। সে দিন হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগে ১৫টি মৃতদেহের হদিশ মেলে।

জানুয়ারির ৬ তারিখ থেকে অগস্টের ১৬।

মাত্র এই ক’মাসের মধ্যে অতিরিক্ত ১৪টি মৃতদেহ এল কোথা থেকে?

এ প্রশ্নের উত্তরেই তৈরি হয়েছে জল্পনা। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, ওই ১৪টি দেহ ‘ভাল’ কাজের জন্য সিরসার ডেরা সচ্চা সৌদার সদর দফতর থেকে দান করা হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে হাসপাতালের এক প্রতিনিধি ওঙ্কার যাদব জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট ১৪টি পরিবার হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল, গবেষণার জন্য দেহ দান করছে তারা। তবে কী করে ওই ব্যক্তিদের মৃত্যু হয়েছে তা জানাতে পারেননি যাদব।

আরও পড়ুন: ডেরার একান্ত নিজস্ব, সমান্তরাল মুদ্রা ব্যবস্থা!

এমসিআই সূত্রে খবর, ওই ১৪টি মৃতদেহের কোনও ডেথ সার্টিফিকেট বা সরকারি অনুমতি দেখাতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পুরোপুরি বেআইনি। নিয়ম বলছে, সরকারি হোক বা বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, দেহ দান করতে হলে অবশ্যই দেখাতে হবে কোনও চিকিৎসক বা হাসপাতালের ইস্যু করা ডেথ সার্টিফিকেট। সঙ্গে দরকার মৃতের পরিবারের অনুমতিপত্র। আর যে সব দেহ পরিচয়হীন, আগে সে গুলির ময়নাতদন্ত করতে হবে। তার পর পুলিশি ছাড়পত্র পেলে সেগুলি হাতে পেতে পারে মেডিক্যাল কলেজ। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে এর কোনওটাই মানা হয়নি।

আরও পড়ুন: পোঁতা আছে বহু লাশ, মানল ডেরা

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বিষয়টি নিয়ে উত্তরপ্রদেশে সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রক। ওই বেসরকারি হাসপাতালের কাছ থেকে এ বিষয়ে জবাব চেয়েছে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। গড়া হয়েছে একটি তদন্ত কমিটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন