সম্বিৎ পাত্র। — ফাইল চিত্র।
আদালতে নথি পেশের আগেই ‘শহুরে নকশাল’দের সঙ্গে কংগ্রেসের যোগসূত্র ‘প্রমাণ’ করে ফেলল বিজেপি। জবাবে কংগ্রেস বলল, এটাই তো ফ্যাসিবাদ, অঘোষিত জরুরি অবস্থা। আদালতে যাওয়ার আগে বিজেপির হাতে নথি এল কী করে, আগে তার তদন্ত হোক।
বিজেপির সম্বিৎ পাত্র আজ সাংবাদিক বৈঠক করে একটি চিঠি দেখান। দাবি করেন, ২০১৭ সালে দুই ‘কমরেড’-এর আলাপচারিতায় লেখা হয়েছে তাদের প্রক্রিয়ায় কংগ্রেস সাহায্য করতে প্রস্তুত। অর্থ সাহায্য দিতেও রাজি। সে জন্য এক ‘বন্ধু’র মোবাইল নম্বরও লেখা আছে। যে নম্বরটি আসলে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহের। বিজেপির অভিযোগ, সনিয়া গাঁধী তাঁর জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের মাধ্যমে একাধিক ‘শহুরে নকশাল’-কে সাহায্য করতেন। এ বারে রাহুল গাঁধীর ‘রাজনৈতিক গুরু’ দিগ্বিজয় সিংহেরও যোগ মিলল তার সঙ্গে।
ভীমা কোরেগাঁও মামলায় দেশের যে পাঁচ জন মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি রয়েছে বৃহস্পতিবার। তার আগেই বিজেপি কোথা থেকে একটি চিঠি জোগাড় করে কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো শুরু করল? সেটি যদি প্রমাণই হয়, তা হলে আদালতে পেশ করা হল না কেন? আজ সেই প্রশ্ন তুলে কংগ্রেস দাবি তুলল, আদালতের নজরদারিতে প্রথমে এই বিষয়টির তদন্ত হওয়া উচিত। এমনিতেই বিজেপির তামিলনাড়ুর সভানেত্রীর অভিযোগে যে ভাবে এক যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার পর থেকে কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর ‘ফ্যাসিবাদ’ নিয়ে সরব হচ্ছিল। এ বারে এই ঘটনা তাতে আরও অক্সিজেন জোগাল।
আরও পড়ুন: রাহুলের ডাকে জোট ১৩ দলের যুবদের, নেই তৃণমূল
কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারি বলেন, ‘‘তরুণী শুধু ‘ফাসিস্ত বিজেপি সরকার ডাউন, ডাউন’ স্লোগান তুলেছিলেন, তাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হল। আর মোদী বলছেন, তিনি শৃঙ্খলা আনতে চাইছেন বলেই স্বৈরতান্ত্রিক বলা হচ্ছে। আসলে প্রধানমন্ত্রীর ‘শৃঙ্খলা’ আর ‘ফ্যাসিবাদ’ সমর্থক।’’ এই কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘‘২০১৯-এ দুই দলের রাজনৈতিক লড়াই আসলে হবে ফ্যাসিবাদ বনাম গণতন্ত্রেরই।’’