আগামী সোমবার শান্তি ফিরিয়ে আনার রাস্তা খুঁজতে কাশ্মীরে পা দিচ্ছেন বিশেষ দূত দীনেশ্বর শর্মা। কিন্তু তিনি শ্রীনগরের বিমান ধরার আগেই কাশ্মীরের পরিস্থিতি ক্রমশ আরও জটিল হচ্ছে। হুরিয়ত নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা কোনও ভাবেই দীনেশ্বরের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না। দীনেশ্বর প্রশ্নে ইতিমধ্যেই বেসুরো গেয়েছে শরিক পিডিপি। অন্য দিকে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো করে তুলেছে আজ পাক বাহিনী ও জঙ্গিদের হামলা। যা দেখে কেন্দ্রের ব্যাখ্যা, শুরুতেই শান্তি প্রক্রিয়া ভেস্তে দিতে চেষ্টা করছে পাকিস্তান ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
কাশ্মীরের বিশেষ দূত হিসেবে দীনেশ্বরের নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন ছিল, প্রাক্তন ওই গোয়েন্দা কর্তা কি হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন? সরকারি ভাবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দীনেশ্বরের উপরেই ছেড়ে রেখেছিলেন রাজনাথ। গত সপ্তাহেই বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দীনেশ্বর জানিয়ে দেন, তিনি সব শিবিরের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত।
দীনেশ্বর এই বার্তা দেওয়ার দু’দিনের মধ্যেই হুরিয়ত নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁরা বিশেষ দূতের সঙ্গে কোনও ভাবে আলোচনায় বসতে রাজি নন। হুরিয়তের বক্তব্য, ‘‘এই অর্থহীন আলোচনায় অংশ নেওয়ার অর্থ হল এ যাবৎ এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে শহিদদের রক্ত ঝরেছে তাঁদের উপেক্ষা করা।’’ হুরিয়তের এই বার্তার ফলে দীনেশ্বরের কাজ আরও কঠিন হয়ে গেল বলেই মনে করছে কেন্দ্র।
তাছাড়া বিজেপির জোটসঙ্গী পিডিপি ও বিরোধী ন্যাশনাল কনফারেন্সও দীনেশ্বরের নিয়োগ নিয়ে স্বস্তিতে নেই।