Rahul Gandhi

‘এই আছি, এই নেই’, রাহুলে ক্ষুব্ধ কংগ্রেসই

পটনায় সাদাকত আশ্রমে প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতরে দলের নেতাদের প্রশ্ন, বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন বা এসআইআর শুরুর পরেই তেজস্বী যাদবকে সঙ্গে নিয়ে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ করলেন রাহুল, বিপুল সাড়া পেলেন।

প্রেমাংশু চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:৪০
Share:

রাহুল গান্ধী। — ফাইল চিত্র।

উনি দু’মাসের জন্য কেন উধাও হয়ে গেলেন বলুন তো?

দিল্লি থেকে আসা সাংবাদিককে সামনে পেয়ে প্রশ্ন করলেন বিহার কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা।

‘উনি’ হলেন রাহুল গান্ধী। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণের চব্বিশ ঘণ্টা আগে বুধবার হরিয়ানায় ভোটার তালিকায় কারচুপি নিয়ে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন রাহুল। বিহারেও ভোটার তালিকায় একই ভাবে কারচুপি হয়ে থাকতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু বিহারে কংগ্রেস নেতারাই রাহুলের ‘এই আছি, এই নেই’ মনোভাবে বিরক্ত।

পটনায় সাদাকত আশ্রমে প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতরে দলের নেতাদের প্রশ্ন, বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন বা এসআইআর শুরুর পরেই তেজস্বী যাদবকে সঙ্গে নিয়ে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ করলেন রাহুল, বিপুল সাড়া পেলেন। কুড়ি বছর ক্ষমতায় থাকা নীতীশ কুমার সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ্যে চলে এল। তার পরে দু’মাসের জন্য বিহারের ময়দান থেকে কেন ‘উধাও’ হয়ে গেলেন রাহুল? কেন আচমকা দক্ষিণ আমেরিকা চলে গেলেন? আরজেডি-কংগ্রেসের মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে তিক্ততা চরমে উঠলেও কেন হস্তক্ষেপ করলেন না?

সাদাকত আশ্রম থেকে মিনিট পনেরোর দূরত্বে ভাই বীরচাঁদ পটেল মার্গে আরজেডি-র সদর দফতরেও একই অভিযোগ। নাম গোপন রাখার শর্তে আরজেডি-র এক জাতীয় মুখপাত্র বলেন, “ভোটার অধিকার যাত্রার পরে মনে হচ্ছিল, আমরা জিতেই গিয়েছি। এমনই আবহ তৈরি হয়েছিল। এখন কঠিন লড়াই। ভোটার অধিকার যাত্রার দু’মাস পরে রাহুল-তেজস্বী একসঙ্গে জনসভা করেছেন। আমরা হাত গুটিয়ে বসেছিলাম। এনডিএ এর মধ্যে ঘর গুছিয়েছে।”

কংগ্রেস এ বার বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ৬১টি আসনে লড়ছে। পাঁচ বছর আগে ৭০টি আসনে লড়ে কংগ্রেস মাত্র ১৯টিতে জিতেছিল। বিরোধীদের মহাগঠবন্ধনে কংগ্রেসের ফলই ছিল সব থেকে খারাপ। এ বারও কি তার পুনরাবৃত্তি হবে?

বিহার কংগ্রেসের ‘ওয়ার রুম’-এর এক নেতা জানাচ্ছেন, কংগ্রেসের ৬১টি আসনের মধ্যে ৫৬টিতে বিজেপি বা জেডিইউ-র সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই। এর ৩৮টি আসনে বিরোধীরা কোনও দিনও জেতেনি অথবা এক বার জিতেছে। ফলে এ বার খান কুড়ি আসন জেতাও কঠিন হবে।

আরজেডি-র নেতার বক্তব্য, “কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি নেই। জনপ্রিয় মুখ নেই। অকারণ দর কষাকষি করে ৬১টি আসন নিয়েছে। অধিকাংশ জায়গায় আরজেডি-র নেতা-কর্মীদেরই কংগ্রেসের জন্য কাজ করতে হয়। আসন বণ্টন নিয়ে তিক্ততার ফলে সেখানেও সমস্যা।”

কী বলছে কংগ্রেস?

আরজেডি-র সঙ্গে তিক্ততার প্রমাণ মিলল প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি রাজেশ রামের ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়। তাঁর কটাক্ষ, “পাঁচ বছর আগে চিরাগ পাসোয়ান আলাদা লড়ে এনডিএ-র ভোট কেটেছিলেন বলে আরজেডি ভাল ফল করেছিল। এ বার তেজস্বী যাদব সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে পারেন কি না, আরজেডি সে দিকে নজর দিক।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন