মধ্যাহ্নভোজের বিরতি হতেই দৌড়। সংসদ ভবন চত্বরে বিজেপি দফতরে ভিড় জমান দলের সাংসদ-নেতারা। কালঘাম ছুটছে শাসক দলের তথ্য-প্রযুক্তি মোর্চার জনা চারেক কর্মীর।
সকলেই ব্যস্ত ‘নরেন্দ্র মোদী অ্যাপে’ শান দিতে।
কারণ? আজ সকালেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, দলের সাংসদ-নেতাদের সঙ্গে তিনি নিজে সরাসরি এই অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতে চান। দলীয় সাংসদদের বৈঠকে মোদী এমনও অনুযোগ করেন, রোজ সকালে তিনি অ্যাপের মাধ্যমে সকলকে ‘নমস্কার’ করেন— কিন্তু ৬-৭ জনের বেশি কেউ জবাবই দেন না। অধিকাংশ অ্যাপ খুলেই দেখেন না!
প্রধানমন্ত্রীর ওই ধমক খেয়েই নেতাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি। কারণ, এ বার ‘নমো-অ্যাপ’-এ একটি বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি দলের সাংসদ, মুখ্যমন্ত্রী ও পদাধিকারীদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। শুধু তাঁদের জন্যই এই বিশেষ বন্দোবস্ত থাকবে। কিন্তু সেই ব্যবস্থা চালুর জন্য অ্যাপটিকে আপডেট করতে হবে। দেখা যায়, বিজেপির বেশির ভাগ নেতাই সেটি করেননি। তাই সংসদ চত্বরেই বিজেপি দফতরে আজ তড়িঘড়ি ডেকে আনা হয় দলের তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীদের।
বিজেপির অনেক নেতারই মত, লোকসভা ভোট যত এগোচ্ছে, মোবাইল অ্যাপের মতো মাধ্যমেই সরাসরি যোগাযোগ বাড়াতে চান মোদী। সেখানেই একসঙ্গে সবাইকে জরুরি নির্দেশ পাঠাবেন তিনি। মোদীর এই হুঁশিয়ারি যে বিজেপি নেতাদের মনে ভয় ঢুকিয়েছে, তা স্পষ্ট। অনেকেই বলছেন, গুজরাতে রাহুল গাঁধী যে ভাবে সক্রিয় হয়ে বিজেপিকে প্রায় ধরাশায়ী করে ফেলেছিলেন, তাতে আরও সতর্ক দলের নেতৃত্ব। পরের বিধানসভা ও লোকসভায় ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তাঁরা। অনেকেরই ভয়, প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের তালিকা থেকে বাদ পড়লে পরের ভোটে হয়তো প্রার্থী তালিকা থেকেও নাম কাটা যাবে। তার চেয়ে ভালয় ভালয় ‘নমো-বাণী’ মেনে নেওয়াই মঙ্গল।