প্রতীকী ছবি।
দলিত ছেলেকে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন মেয়েটি। পরিবারের সম্মান রক্ষার অজুহাতে সেই ছেলেকে কুপিয়ে মেরেছিল মেয়ের পরিবার। গুরুতর জখম হয়েও বেঁচে যান মেয়েটি। গত বছরের সেই ঘটনায় আজ নিহতের শ্বশুর-সহ ছ’জনকে মৃত্যুদণ্ড দিল তামিলনাড়ুর তিরুপুরের জেলা ও দায়রা আদালত।
২০১৬-র ১৩ মার্চ তামিলনাড়ুর উদুমালপেটের ওই ঘটনাটি দেখা গিয়েছিল সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে। সে দিন প্রকাশ্য দিবালোকে ২২ বছরের দলিত যুবক শঙ্কর ও তার স্ত্রী কৌশল্যাকে কুপিয়েছিল তিন জন। তার পরে মোটরবাইকে চেপে চম্পট দেয় খুনিরা। আশপাশের ভিড় তখন নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গোটা দেশে। প্রতিবাদ করে রাজনৈতিক দলগুলোও।
তদন্তে কৌশল্যার পরিবারের যোগসাজশ পায় পুলিশ। খুনের তিন মাস আগে বর্ণহিন্দু সম্প্রদায়ের কৌশল্যাকে বিয়ে করেছিলেন শঙ্কর। একসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় থেকে প্রণয় তাঁদের। কৌশল্যা জানান, প্রথম থেকেই এই অসবর্ণ বিয়ের বিরোধিতা করে আসছিল তাঁর পরিবার। তাঁর বাবা শঙ্করকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন।
তদন্তের পরে কৌশল্যার বাবা-মা চিন্নাস্বামী ও আন্নালক্ষ্মী-সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। তফসিলি জাতি ও উপজাতি সুরক্ষা আইন-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির সাতটি ধারায় অভিযোগ দায়ের হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। ২০১৭-র নভেম্বরেই বিচার শেষ হয়। ১১ জনের মধ্যে কৌশল্যার মা আন্নালক্ষ্মী ও মামা পান্ডিথুরাই ও এক নাবালক কাকা বেকসুর খালাস পেয়ে যান। দু’জন কম সাজা পেয়েছেন। কৌশল্যার বাবা চিন্নাস্বামী-সহ ৬ জনকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। নির্দেশ দিয়েছেন, শঙ্করের পরিবারকে ১১লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে অভিযুক্তদের।