মন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম বার করিমগঞ্জে এসেছেন পরিমল শুক্লবৈদ্য। আবর্ত ভবনে সরকারি আধিকারিক ও জেলার বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল তাঁর। সেখানে হাজির ছিলেন জেলাশাসক মনোজকুমার ডেকা, পাথারকান্দির বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল, রাতাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক কৃপানাথ মালা, জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য।
আজ বিকেলে বৈঠক শুরু হওয়ার পরই আচমকা আবর্ত ভবনে পৌঁছন উত্তর করিমগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। বৈঠকের ঘরে ঢুকে জেলাশাসককে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘‘আমিও এই জেলার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। বরাক থেকে পরিমলবাবু পূর্তমন্ত্রী হয়েছেন, তাতে আমিও খুশি। কিন্তু অন্যদের ডাকা হলেও, আমাকে সরকারি বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হল না কেন!’’ মনোজবাবুকে তিনি বলেন, ‘‘আপনি একটি দলের বিধায়কদের সম্মান দেবেন, অন্যদের দেবেন না এমন ঘটনা ফের ঘটলে কিন্তু আমি ছেড়ে কথা বলব না।’’ এর পর কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই সেখান থেকে বেরিয়ে যান কমলাক্ষবাবু। পরে মন্ত্রী বলেন, ‘‘বৈঠকে কাকে আমম্ত্রণ জানানো হয়েছে, তা আমার জানা ছিল না। তবে ভবিয্যতে যখন আসব তখন সবাইকে নিয়েই বৈঠক করব।’’
এ দিন সন্ধেয় সাংবাদিক বৈঠকে পরিমলবাবু জানান, বরাকের বেহাল রাস্তা সারানোর কাজ চলছে। দ্রুত সব কিছু ঠিক করার চেষ্টা করা হবে।