Karnataka Congress Rift

ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট তিনি করেননি, শোরগোল শুরু হতেই দাবি শিবকুমারের, কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে জল্পনা চলছেই

কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে লেখা হয়, ‘শব্দ শক্তিই বিশ্বের শক্তি’। এই পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল শুরু হয়। বৃহস্পতিবার অবশ্য শিবকুমার দাবি করেছেন, ওই পোস্ট তিনি করেননি। সেটি ভুয়ো!

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:০৯
Share:

(বাঁ দিকে) ডিকে শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়া (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে কংগ্রেস নতুন মুখ আনবে, নাকি সিদ্দারামাইয়াকেই রেখে দেওয়া হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছেই। এই আবহেই সমাজমাধ্যমে কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে লেখা হয়, ‘শব্দ শক্তিই বিশ্বের শক্তি’। এই পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল শুরু হয়। বৃহস্পতিবার অবশ্য শিবকুমার দাবি করেছেন, ওই পোস্ট তিনি করেননি। সেটি ভুয়ো! শিবকুমারের এই দাবি ঘিরে বিতর্ক আরও তুঙ্গে উঠেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বাড়িতে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে ছিলেন মন্ত্রী জি পরমেশ্বর, সতীশ জারকিহোলি প্রমুখ। সেখানে দলের সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যেই কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর জানিয়েছেন, কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব যদি চায়, তবে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মেনে নিতে তাঁর আপত্তি নেই। পরমেশ্বর শিবকুমার-ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তাই তাঁর এই মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার খড়্গে জানিয়েছেন, তিনি সিদ্দারামাইয়া, শিবকুমার, রাহুল গান্ধী প্রত্যেকের সঙ্গেই আলোচনায় বসবেন। শিবকুমার জানিয়েছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চাইলে তিনি এবং সিদ্দারামাইয়া দিল্লি গিয়ে আলোচনায় বসবেন।

Advertisement

গত কয়েক দিন ধরেই কর্নাটক কংগ্রেসের অন্দরে ডামাডোল চলছে। কর্নাটকের অধুনা উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি উঠেছে দলের অন্দরেই। দিল্লিতে কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়কদের একাংশ দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করার কর সেই জল্পনা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ওই বিধায়কদের দাবি, ২০২৩ সালে সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করার সময় কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, আড়াই বছর পর মুখ্যমন্ত্রী করা হবে শিবকুমারকে। অর্থাৎ, পাঁচ বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্ব সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে দুই নেতার মধ্যে। সেই ‘প্রতিশ্রুতির সম্মান’ রাখার দাবি তুলেছেন শিবকুমার-ঘনিষ্ঠেরা। ঘটনাচক্রে, অক্টোবরেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আড়াই বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছেন সিদ্দারামাইয়া। সে ভাবে দেখলে এ বার শিবকুমারের পালা।

প্রশ্ন ওঠে, তা হলে কি এ বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারাতে চলেছেন সিদ্দারামাইয়া? শিবকুমার এই প্রসঙ্গে জানান, দলের মধ্যে কোনও দল গঠন করা তাঁর রক্তে নেই। সিদ্দারামাইয়া গোটা ঘটনা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশও করেন। তাঁর দাবি, এ নিয়ে ‘অপ্রয়োজনীয় বিতর্কের’ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement