DMK

DMK-BJP: পরিবারতন্ত্র ডিএমকেতে, নেতা গেলেন বিজেপিতে

কিন্তু বাবা কি তাঁর এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন? এই প্রশ্নের জবাবে সুরিয়া বলেন, “এখনই এটা মেনে নেওয়ার মতো অবস্থায় বাবা হয়তো নেই, কিন্তু পরিচিতির সঙ্কটটা তাঁরও রয়েছে। এক দিন ঠিকই বুঝবেন।”                   

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চেন্নাই শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২২ ০৮:০৮
Share:

বিজেপিতে যোগদান যুবনেতা সুরিয়া শিবা। ছবি সংগৃহীত।

দলে পরিবারতন্ত্র চলছে, এমন অভিযোগ তুলে বিজেপিতে যোগ দিলেন ডিএমকের যুবনেতা সুরিয়া শিবা। তাঁর বাবা তিরুচি শিবা-ও তামিলনাড়ুর শাসক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং সাংসদ। ৩২ বছরের সুরিয়া এ দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়ে দাবি করেন, “ডিএমকে-র সাধারণ কর্মীরা দলে পরিবারতন্ত্র নিয়ে ক্ষুব্ধ। শীঘ্রই তাঁরাও দলে দলে বিজেপিতে যোগ দেবেন।”

Advertisement

সুরিয়ার ডিএমকে ত্যাগ তামিলনাড়ুতে এই মুহূর্তে চর্চার বিষয়। তাঁর বিজেপিকে বেছে নেওয়াও অনেককে বিস্মিত করেছে, কারণ দ্রাবিড় রাজনীতির ঐতিহ্যশালী তামিলনাড়ুতে বিজেপির উপস্থিতি এই দলের জন্মের সময় থেকে হলেও প্রভাব একেবারেই সীমাবদ্ধ। জয়ললিতার সঙ্গী হয়েও দ্রাবিড়ভূমিতে নির্বাচনী যুদ্ধে কখনও তেমন সুবিধা করতে পারেনি মনুবাদী হিসেবে পরিচিত আরএসএস-এর রাজনৈতিক দল বিজেপি। সুরিয়া অবশ্য দাবি করেন, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার মতো সংগঠন বিজেপির রয়েছে।

তবে ডিএমকে নিয়ে নানা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলত্যাগী যুবনেতা। তাঁর মতে, রাজ্যের শাসক দলে পরিবারতন্ত্র ও উত্তরাধিকারের লড়াই চলছে। এর ফলে পরিবারের বাইরের কারও পরিশ্রমের মর্যাদা দেওয়া হয় না। সুরিয়া বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের উত্তরাধিকারী হওয়ার জন্য দলের ভিতরে তিনটি লবির লড়াই চলছে। এক দল স্ট্যালিনের জামাই সাবারিসনকে উত্তরাধিকারী বানাতে চায়। আর একটি লবি মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র এবং বিধায়ক উদয়নিধিকে এখনই মন্ত্রী করতে তৎপর, যাতে তিনিই বাবার হাত থেকে ক্ষমতা নিতে পারেন। তৃতীয় লবি স্ট্যালিনের বৈমাত্রেয় বোন কানিমোঝির।” সুরিয়ার কথায়, করুণানিধি পরিবারের বাইরের কোনও নেতার দলে মূল্য নেই। কর্মীরা সেটা বুঝছেন। তাঁদের দলত্যাগ ও বিজেপিতে যোগদান সময়ের অপেক্ষা।

Advertisement

কিন্তু বাবা কি তাঁর এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন? এই প্রশ্নের জবাবে সুরিয়া বলেন, “এখনই এটা মেনে নেওয়ার মতো অবস্থায় বাবা হয়তো নেই, কিন্তু পরিচিতির সঙ্কটটা তাঁরও রয়েছে। এক দিন ঠিকই বুঝবেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন