Narendra Modi

মোদীর শ্রীলঙ্কা নীতি হাতিয়ার ডিএমকে-র

গৃহযুদ্ধের সময় তামিল টাইগারদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল শ্রীলঙ্কা সরকারের প্রতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২১ ০৫:৪৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

মোদী সরকারের সাবধানী বিদেশনীতিকে তামিলনাড়ুর ভোটে অস্ত্র করছে ডিএমকে। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, তামিল আবেগকে সামনে নিয়ে এসে সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জে শ্রীলঙ্কা সংক্রান্ত ভোটাভুটিকে বিধানসভা ভোটের প্রচারে কাজে লাগাবে দ্রাবিড় দল। এই প্রচারে সুর মেলাতে দেখা গেল কংগ্রেসকেও।

Advertisement

গৃহযুদ্ধের সময় তামিল টাইগারদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল শ্রীলঙ্কা সরকারের প্রতি। গতকাল রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এই নিয়ে এক প্রস্তাবে ভোটাভুটি হয়। সেই গুরুত্বপূর্ণ ভোটের আগে শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে টেলিফোনে বৈঠকও করেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটিতে অংশ না নিয়ে রাজাপক্ষে সরকারের সুবিধা করে দিয়েছে ভারত।

এর পরই প্রতিবাদের স্বর শোনা গিয়েছে ডিএমকে-র পক্ষ থেকে। তাদের বক্তব্য, ‘‘তামিলদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা হল। যা ক্ষমাহীন।’’ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম জানিয়েছেন, ‘‘তামিলনাড়ুর মানুষের উচিত এই ঘটনার পর বিজেপি-কে শাস্তি দেওয়া। বিজেপি-এআইডিএমকে-বিজেপি জোটকে হারানোর লক্ষ্যে ভোট দেওয়া।’’ তাঁর মতে, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপে তামিল জনতাকে প্রবল ভাবে ঠকানো হল।’’ টুইট করে তিনি বলেছেন, ‘‘বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের উপর প্রবল চাপ ছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনে ভোটাভুটির সময় ভারতীয় প্রতিনিধিকে অনুপস্থিত থাকতে বলার জন্য। আমার মতে, তামিল মানুষের প্রতি এই অন্যায়ের প্রতিবাদে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।’’

Advertisement

১৯৮৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধে নিহত হয় ৮০ হাজারেরও বেশি এলটিটিই (লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলম) জঙ্গি। তার মধ্যে বেশির ভাগই শ্রীলঙ্কার তামিল সম্প্রদায়ভুক্ত। তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বারবার উঠেছে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, এই বিষয়টি নিয়ে, ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’র নীতি নিয়েছে ভারত। ঘরোয়া রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কথা ভেবে রাজাপক্ষে ফোন করে অনুরোধ করা সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার পক্ষে ভোট দেওয়া যায়নি। আবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়াটাও সম্ভব নয় নয়াদিল্লির। চিন এমনিতেই নিঃশ্বাস ফেলছে এই দ্বীপরাষ্ট্রের উপর। সব মিলিয়ে তাই ভোটদান থেকে বিরত থেকে একটি ভারসাম্যের বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সাউথ ব্লকের পক্ষ থেকে। বলা হয়েছে, ‘শ্রীলঙ্কার তামিল সম্প্রদায়ের আশা আকাঙ্ক্ষার কথা মাথায় রেখে জাতিগত মীমাংসার জন্য সে দেশের সরকারের চেষ্টা করে যাওয়া উচিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে গঠনমূলক ভাবে যুক্ত থাকা উচিত, যাতে দেশের সমস্ত নাগরিকের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার অক্ষুণ্ণ থাকে।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন