পুকুর থেকে মাছ নয়, খাদ্য সুরক্ষার কার্ড উদ্ধার হল করিমগঞ্জে। অন্যান্য দিনের মতো আজ দুপুরেও করিমগঞ্জ শহরের রেল কলোনির লম্বা পুকুর নামে খ্যাত পুকুরটিতে স্নান করতে নামেন এলাকার মানুষজন। হঠাৎই এক কিশোরের পায়ে ব্যাগ জাতীয় কিছু একটা লাগে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগটি তুলে আনে। দেখা যায় ব্যাগের ভিতরে রয়েছে অসংখ্য পাসপোর্ট সাইজ ফটো-সহ খাদ্য সুরক্ষার বেশ কিছু কার্ড। কিছু সংখ্যক কার্ড পুড়িয়ে ব্যাগে ঢোকানো হয়েছিল। তারও প্রমাণ মিলেছে ওই ব্যাগে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের কাছে খবর পাঠানো হয়।
পুলিশ উদ্ধার হওয়া সব জিনিসই আটক করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন রেশন ডিলার খাদ্য সুরক্ষার কার্ডে ব্যাপক জালিয়াতি করেছে। প্রকৃত হিতাধিকারীদের নাম কেটে অন্যদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। তাই কানিশাইল-শরিফনগর এলাকার অসংখ্য মানুষের কার্ড বদল করে নিজের ইচ্ছেমতো নাম তুলেছেন রেশন ডিলাররা। পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া খাদ্য সুরক্ষার অধিকাংশ কার্ডের অর্ধেক জ্বালিয়ে ফেলা হলেও ৩ টি কার্ড ভাল রয়েছে। সেই কার্ডগুলিতে লেখা রয়েছে কল্পনা পাল (৪৭), পূর্ব কানিশাইল, ক্রমিক নং ১৪৯১, কুটি রায় (৩২), ওয়ার্ড নম্বর ১, পূর্ব কানিশাইল, সাবিত্রিবালা দাস (৩৫), ওয়ার্ড নম্বর ১, পূর্ব কানিশাইল। এলাকার জনগণের ধারণা, কানিশাইল এলাকার রেশন ডিলার তার দুর্নীতি ঢাকতেই কার্ডগুলি ব্যাগে ঢুকিয়ে পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।