Domestic Help

Domestic help abused: প্রস্রাবে ভেসে যাচ্ছে শরীর! কাজ করতে দিল্লি গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি শিলিগুড়ির রজনী

অভিযোগ, রজনীর উপর নির্মম অত্যাচার চালাচ্ছিলেন ওই দম্পতি। বেধড়ক মারধর থেকে শুরু করে খেতে না দেওয়া— সবই চলছিল দীর্ঘদিন ধরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২২ ১৮:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

শিলিগুড়ি থেকে রাজধানী দিল্লিতে গিয়েছিলেন কাজ করতে। কিন্তু ৪৮ বছরের রজনী এখন হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে। পুলিশ সূত্রে খবর, যে বাড়িতে কাজ করতেন তিনি, সেখানেই তাঁর উপর নৃশংস অত্যাচার করা হয়। কার্যত আধমরা অবস্থায় তাঁকে সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে পশ্চিম দিল্লির রাজৌরি গার্ডেন্সে এক দম্পতির বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করছিলেন শিলিগুড়ির রজনী। অভিযোগ, সম্প্রতি তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় প্লেসমেন্ট এজেন্সির দরজায় ফেলে দিয়ে আসেন ওই দম্পতি। প্লেসমেন্ট এজেন্সির কর্ণধারের অভিযোগ, যখন রজনীকে তাঁরা উদ্ধার করেন, তখন তাঁর কার্যত আধমরা অবস্থা। জামাকাপড় প্রস্রাবে সিক্ত। মাথায়, ঘাড়ে, হাতে, কোমরে আঘাত। তাঁর চুলও কাটা ছিল। দ্রুত রজনীকে সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যান প্লেসমেন্ট সংস্থার কর্ণধার। সেখান থেকে খবর যায় থানায়।

Advertisement

রজনীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁর উপর প্রবল অত্যাচার চালাচ্ছিলেন ওই দম্পতি। বেধড়ক মারধর থেকে শুরু করে খেতে না দেওয়া— সবই চলছিল দীর্ঘদিন ধরে।

পুলিশের তরফে শিলিগুড়িতে রজনীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁদের দ্রুত দিল্লি আসতে বলা হয়েছে। ওই বাড়িতে মাসিক সাত হাজার টাকা বেতন পেতেন রজনী। দিল্লি পুলিশ বিভিন্ন ধারায় মামলার রুজু করে ওই দম্পতির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর সেপ্টেম্বরে ওই দম্পতি প্লেসমেন্ট সংস্থায় গিয়ে অভিযোগ করেছিলেন, আগের পরিচারিকা খাবারে ইঁদুর মারার বিষ মিশিয়ে তাঁদের মেরে ফেলার চক্রান্ত করছেন। তাই নতুন কাউকে দরকার। সেই সময়ই রজনীকে নিযুক্ত করা হয়। বর্তমানে গুরুতর আঘাত নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন