প্রতীকী ছবি।
কৃষক আন্দোলনে পুড়ছে মধ্যপ্রদেশ। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। তার মধ্যেই মহারাষ্ট্রে এক কৃষকের আত্মহত্যা যেন আন্দোলনের আগুনে ঘি ঢালল।
মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলার ভিট গ্রামে গত বুধবার রাতে আত্মহত্যা করেন ধনজী চন্দ্রকান্ত যাদব (৪৫)। পর দিন সকালে বাড়ির অদূরেই একটি গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ধনজীর কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে তিনি লিখে গিয়েছেন, “আমি ধনজী চন্দ্রকান্ত যাদব। এক জন কৃষক। আজ আত্মহত্যা করছি। অনুরোধ করছি, যত ক্ষণ না গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীশ আসবেন, আমার দেহ সত্কার করবেন না।”
আরও পড়ুন: নাবালিকাকে খুন করে ধর্ষণ ‘তান্ত্রিক’-এর, নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে বাবা-মা
ধনজীর আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রায় চার হাজার মানুষ গ্রামে হাজির হন। সড়কপথ অবরোধ করেন। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা গ্রাম এবং অন্য চাষিরা। ধনজীর আত্মহত্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে এ ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্য না করায় বিক্ষোভের মাত্রা চরমে পৌঁছয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পরে অবশ্য ধনজীর গ্রামে ফডণবীশ মন্ত্রিসভার এক মন্ত্রী বিজয় দেশমুখ ওই গ্রামে গিয়ে কৃষকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ধনজীর স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। আড়াই একরের মতো চাষের জমি রয়েছে তাঁর। কিন্তু ঋণের বোঝা প্রায় ৬০ হাজার টাকা। বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করছিলেন ধনজী। ফসলের দাম না পাওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত ঋণের বোঝা— দুয়ে মিলিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। অবশেষে চরম সিদ্ধান্ত নেন। ধনজীর মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীরা কৃষক আত্মহত্যা এবং কৃষকদের ঋণ মকুব নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ শানাচ্ছে। শিবসেনাও বিজেপির সমালোচনা করতে ছাড়েনি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মহারাষ্ট্রে কৃষকদের আন্দোলন চলছে। ফসলের ঠিকমতো দাম না পাওয়ায় সেগুলো নষ্ট করে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।