E-Cigarettes

নতুন প্রজন্মের মধ্যে নেশার প্রবণতা বাড়ছে, ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

ই সিগারেট নিষিদ্ধ করা নিয়ে একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠন করেছিল মোদী সরকার। তারই প্রধান নির্মলা সীতারামন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৬:৪৯
Share:

ই সিগারেটে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের। — ফাইল চিত্র

ব্রাজিল, উরুগুয়ে, সিঙ্গাপুর বা শ্রীলঙ্কার মতো এ বার এ দেশেও নিষিদ্ধ হল ই সিগারেট। বুধবার সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এখন থেকেই কার্যকর হল এই নিষেধাজ্ঞা। তাঁর মতে, তামাক বিরোধিতার পদক্ষেপ হিসাবে ই সিগারেট বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। শিশুদের মধ্যেও নেশা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নির্মলা।

Advertisement

ই সিগারেট নিষিদ্ধ করা নিয়ে একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠন করেছিল মোদী সরকার। তারই প্রধান নির্মলা সীতারামন। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘এর অর্থ উৎপাদন, আমদানি, রফতানি, পরিবহণ, বিক্রি, বণ্টন, মজুত করা ও বিজ্ঞাপন, ই সিগারেট সংক্রান্ত সব কিছুই নিষিদ্ধ হচ্ছে।’’ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশে মেনেই ওই মন্ত্রিগোষ্ঠী ই সিগারেট নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স খতিয়ে দেখছে। অর্ডিন্যান্সের খসড়া অনুযায়ী, ই সিগারেট সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রথম বার লঙ্ঘন করলে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হতে পারে। তার পরেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য হলে তিন বছর কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা পর্যন্ত করার সংস্থান রাখা হয়েছে ওই খসড়ায়।

এ দিন নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘‘ধূমপানের নেশা থেকে মুক্তির জন্যই ই সিগারেট ব্যবহার করা হত। কিন্তু, বহু মানুষই সে ভাবে এটাকে ব্যবহার করছে না উল্টে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রিপোর্ট বলছে, কিছু মানুষের মধ্যে এই বদভ্যাস ঢুকেছে এবং মনে হচ্ছে যেন কিছুই হয়নি। ভারতের বাজারে ই সিগারেটের ৪০০ ব্র্যান্ড রয়েছে এবং তার ১৫০ রকম স্বাদও রয়েছে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজীবকে নিজেদের কব্জায় পেতে বিশেষ অভিযানের প্রস্তুতিতে সিবিআই, দিল্লি থেকে এল নতুন দল​

ভারতে ই সিগারেট ও অন্যান্য ধরনের ধূমপানের ইলেকট্রনিক যন্ত্র নিষিদ্ধ করা নিয়ে বহু দিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে গেরুয়া শিবিরের ছত্রছায়ায় থাকা ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন। ই সিগারেট ভারতীয় তামাক চাষীদের ক্ষতি করছে বলে অভিযোগ তাদের। তবে ইলেকট্রনিক সিগারেট নিষেধাজ্ঞার ফলে বার্ষিক দু’হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। মোদী সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এলে ১০০ দিনের মধ্যেই ই সিগারেট, ই নিকোটিনের মতো জিনিসে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল বিজেপি। ই সিগারেট নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ইতিমধ্যেই তিরিশটি দেশে নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে ইলেকট্রনিক সিগারেট।

আরও পড়ুন: ‘আপনি কোনও ভাষা চাপিয়ে দিতে পারেন না’, হিন্দির বিরুদ্ধে এ বার সরব রজনীকান্ত​

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন