নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর। দিল্লিতে। ছবি- সংগৃহীত।
ভোটের দু’দিন আগে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিষেধাজ্ঞার কারণে বন্ধ থাকে রাজনৈতিক প্রচার। বন্ধ থাকে সভা, রাজনৈতিক মিছিলও। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হল, মোবাইল যখন মানুষের হাতে-হাতে, সেখানে ভোটের দিনেও সামাজিক মাধ্যমে কী ভাবে কোনও প্রার্থীর প্রচার রোখা সম্ভব! প্রাথমিক ভাবে এ নিয়ে ফেসবুক, ইয়াহু, হোয়াটস অ্যাপের মতো সামাজিক মাধ্যম সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলেছে কমিশন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রচারের শুরু থেকেই রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করে রাখা হবে। কোন দলের কোন প্রার্থী বিজ্ঞাপনে কত টাকা খরচ করছেন, সে দিকটিও খেয়াল রাখা হবে। ঠিক হয়েছে, ভোটের দু’দিন আগে থেকেই রাজনৈতিক প্রচার বন্ধ করতে হবে সামাজিক মাধ্যমে। অন্যথায় জনপ্রতিনিধি আইন ভাঙার অপরাধে প্রার্থী তথা দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে কমিশন।
লোকসভা নির্বাচন কড়া নাড়ছে। অনেকেই মনে করছেন, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার ফল দেখে ভোট এগোতে পারে বিজেপি। তবে যে ভাবে বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষার দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে, তার পরে নির্বাচন এগিয়ে আনা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এই পরিস্থিতিতে আজ এবং আগামিকাল দু’দিনের জন্য দেশের সমস্ত নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক বসছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। কমিশন সূত্র জানিয়েছে, একাধিক দফা ভোটের ক্ষেত্রে ইস্তাহার প্রকাশে দেরি করে থাকে রাজনৈতিক দলগুলি। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফা ভোটের অন্তত তিন দিন আগে ইস্তাহার প্রকাশ সেরে ফেলতে হবে সব রাজনৈতিক দলকে।