প্রতীকী ছবি।
অগুস্তা-চপার দুর্নীতির তদন্তে দিল্লি আদালতে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে গাঁধী পরিবারের অস্বস্তি বাড়াতে কপ্টার দুর্নীতি নিয়ে তৎপর হয়েছে কেন্দ্র। কংগ্রেসের অভিযোগ, ইডি-কে ‘রাজনৈতিক অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
আদালতে গত ডিসেম্বরে ইডি দাবি করেছিল, অগুস্তা-চপার কাণ্ডে ধৃত ক্রিশ্চিয়ান মিশেল তাঁদের জেরায় ‘মিসেস গাঁধী’-র নাম বলেছেন। তবে কী প্রসঙ্গে মিশেল ‘মিসেস গাঁধী’-র নাম বলেছিলেন, তা এখনই বলা যাবে না বলে ইডি দাবি করেছিল। আজ অতিরিক্ত চার্জশিটে ইডির দাবি, দুই প্রতিরক্ষা দালাল মিশেল এবং গুইডো হ্যাসকের মাধ্যমে ইউপিএ আমলে শাসক দলের শীর্ষনেতাদের, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একাধিক আধিকারিক এবং বায়ুসেনার অফিসারদের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। অতিরিক্ত চার্জশিটে ইডির আরও দাবি, মিশেল জেরায় জানিয়েছেন, তাঁর ডায়েরিতে যে ‘এ পি’ লেখা রয়েছে, তা আসলে কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল। ‘ফ্যাম’ কথার অর্থ ‘ফ্যামিলি’। ঘুষ হিসেবে মোট ৭০ মিলিয়ন ইউরো এবং চুক্তি-অর্থের ১২ শতাংশ দেওয়া হয়েছিল।
এই মামলায় গত কাল মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। কংগ্রেস অবশ্য আজ সরাসরি নিশানা করেছে কেন্দ্রকে। তাদের অভিযোগ, ইডিকে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে’র জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা প্রশ্ন তুলেছে, প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির কনভয় থেকে যখন ১ কোটির বেশি টাকার ধরা পড়ে, তখন ইডি কিছু করে না কেন?