আহমেদ পটেল।
সনিয়া গাঁধীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী আহমেদ পটেলের বাড়িতে ২৫ লক্ষ টাকা ঘুষ পৌঁছনোর প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে বলে দাবি করল ইডি। অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে জানিয়েছে পটেলের দফতর।
একটি ওষুধ সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক প্রতারণার মামলায় রঞ্জিৎ মালিক নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। আজ তার হেফাজত চাওয়ার সময়ে আদালতে ইডি জানায়, রাকেশ চন্দ্র নামে এক ব্যক্তি রঞ্জিতের হয়ে টাকা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করত। রাকেশ স্বীকার করেছে, সে ২৫ লক্ষ টাকা দিল্লির ২৩ নম্বর মাদার ক্রেসেন্ট রো়ডে পৌঁছে দিয়েছিল। ওই ঠিকানা রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ পটেলের সরকারি বাসস্থান। ইডি জানিয়েছে, এই মামলায় তোলা অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য তাদের কাছে টেলিফোনে কথোপকথন ও আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ আছে।
আগেও এই মামলায় পটেলের পরিবারকে জড়ানোর চেষ্টা করেছিল ইডি। তাদের অভিযোগ, এই মামলায় পটেলের ছেলে ও জামাই জড়িত।
সংশ্লিষ্ট ওষুধ সংস্থার পরিচালক চেতন জয়ন্তীলাল সন্দেসরা, দীপ্তি চেতন সন্দেসরা ও নিতিন জয়ন্তীলাল সন্দেসরা ২০১৭ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে সংস্থার ৪৭০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। পটেলের দফতর জানিয়েছে, এই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন। অগুস্তা ভিআইপি কপ্টার কাণ্ডেও এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছিল।