বসুন্ধরা-সুষমা ইস্তফা দেবেন না, সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট করে দিয়ে এ বার ললিত মোদীর বিরুদ্ধে আঁটঘাট বেঁধে মাঠে নামল নরেন্দ্র মোদী সরকার। আজ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ললিতকে সমন পাঠিয়েছে। পাঁচ বছর আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন ললিতের বিরুদ্ধে ৪৭০ কোটি টাকার আর্থিক নয়ছয়ের মামলা করেছিলেন। সেই মামলাতেই ললিতকে ১৫ দিনের মধ্যে ইডি-র সামনে হাজির হয়ে অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে বিদেশি মুদ্রা আইন (ফেমা) লঙ্ঘনের অভিযোগের ১৫টি মামলায় ললিতকে সমন পাঠিয়েছিল ইডি। চিঠির জবাব দিলেও কোনও বারই ভারতে এসে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হননি ললিত। ইডি সূত্রের বক্তব্য, ফেমা-য় ললিতের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ রয়েছে, সেগুলিতে অপরাধী সাব্যস্ত হলেও ললিত জরিমানা দিয়েই ছাড়া পেয়ে যাবেন। জেল হবে না। কারণ সেগুলি ফৌজদারি অপরাধ নয়। তাই ওই আইনে কাউকে বিদেশ থেকে ফেরত আনা বা প্রত্যর্পণও মুশকিল। কিন্তু আর্থিক নয়ছয় আইন (পিএমএলএ)-এ ললিতের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, বিশ্বাসভঙ্গ, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই আইনে মোদীকে দেশে নিয়ে এসে বা বিদেশে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ব্রিটেন বা অন্য দেশগুলির উপর কূটনৈতিক চাপ তৈরি করা যেতে পারে।
অবশ্য এ সব করেও ব্রিটেন থেকে ললিতকে ফেরানো যাবে কি না, সে প্রশ্ন থাকছেই। কারণ ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের মধ্যেও ললিতের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। নয়াদিল্লির তরফে বেশি চাপ এলে ললিত ব্রিটিশ সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন।