কার্তি চিদম্বরম।
কার্তি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় চেন্নাই ও কলকাতায় ছ’টি জায়গায় অভিযান চালাল ইডি। তল্লাশি হয়েছে চেন্নাইয়ের তেইনাম্পেটে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের শ্যালক তথা কার্তির মামা এস কৈলাসনের বাড়িতে। ওই শহরেই সুজয় সুব্রমূর্তি ও রামজি নটরাজন নামে আরও দুই ব্যক্তির সম্পত্তিতেও অভিযান চালায় ইডি। কলকাতায় তল্লাশি চালানো হয় মনোজ মোহাঙ্ক নামে এক ব্যক্তির দু’টি সম্পত্তিতে। একটি লি রোডে। অপরটি লাভলক প্লেসে।
এয়ারসেল-ম্যাক্সিস ও আইএনএক্স মিডিয়া সংক্রান্ত মামলায় বিদেশি লগ্নি-প্রসার বোর্ড (এফআইপিবি)-এর ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে ২০০৬ ও ২০০৭ সালে কারচুপি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার সময়ে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক ছিল চিদম্বরমের হাতে। চিদম্বরমের দাবি, নিয়ম মেনেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। ইডি-র কর্তারা জানাচ্ছেন, কী পরিস্থিতিতে ওই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল সেটাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলার সূত্রেই ইডি চলতি বছরের গোড়ায় কার্তি ও একটি সংস্থার দফতর থেকে ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। তখনই এতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম। কার্তিও দাবি করেন, ওই মামলায় আদালত তাঁকে রেহাই দিয়েছে আগেই। যদিও ইডি-র কর্তারা বলছেন, যে চার্জশিটের সূত্রে রেহাই পাওয়ার কথা বলছেন কার্তি, সেটিতে তিনি অভিযুক্তই ছিলেন না। ইডির বরং অভিযোগ ছিল, সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রক্রিয়া ভেস্তে দিতে কার্তি গুরুগ্রামে একটি সম্পত্তি বেচে দিয়েছেন, কয়েকটি ব্যাঙ্ক-অ্যাকাউন্ট বন্ধ করারও চেষ্টা করেছেন। আজকের এই তল্লাশিতে কী কী পাওয়া গিয়েছে, সে বিষয়ে ইডি কিছু জানায়নি।