ললিত মোদীর বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগের তদন্তে সিঙ্গাপুর, মরিশাস এবং ব্রিটেনের সাহায্য চাইবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ওই দেশগুলির আইনি সাহায্য চেয়ে চিঠি বা লেটার রোগেটরি পাঠানো হচ্ছে। ললিত মোদী ও তাঁর সংস্থার সঙ্গে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হচ্ছে ওই চিঠিতে।
বিদেশি মুদ্রা লঙ্ঘন আইনে (ফেমা) এক গুচ্ছ মামলা ছাড়াও আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর এক মামলাতেও ললিতের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইডি। ইডি সূত্রের দাবি, আর্থিক নয়ছয় আইনে মোদীকে বিদেশে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ব্রিটেন বা অন্য দেশগুলির উপর কূটনৈতিক চাপ তৈরি করা যেতে পারে। ইডি-র এই তৎপরতার পিছনে রাজনৈতিক কারণ দেখছে বিরোধীরা। কিছু দিন আগে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছিলেন, ‘‘ললিত মোদীর সংস্থার সঙ্গে বসুন্ধরা রাজে বা তাঁর পুত্রের আর্থিক লেনদেন পুরোটাই ব্যবসায়িক।’’ প্রশ্ন ওঠে, তাঁর মন্ত্রকের অধীন ইডি যেখানে তদন্ত করছে, সেখানে জেটলি কী ভাবে মন্তব্য করেন। এর পরেই জেটলি বলেন, ‘‘তদন্ত নিজের পথেই এগোবে।’’ তদন্ত যে নিজের গতিতে চলছে, তা প্রমাণ করতেই ইডি এখন তৎপর হয়ে উঠেছে বলে মনে করছে বিরোধীরা।