নজরে গয়না নির্মাতারাও

বিহারে গীতাঞ্জলির শাখাগুলি যৌথ ভাবে চালাতেন ওডিশার ব্যবসায়ী সন্তোষকুমার হোতা এবং মুজফ্ফরপুরের ব্যবসায়ী রবি কুমার। পিএনবি কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরই গা ঢাকা দিয়েছেন  দু’জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩৭
Share:

পিএনবি কাণ্ডে বিহারের প্রায় ৫০ জন গয়না প্রস্তুতকারকের ‘স্টক’ নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে ইডি। বিহারে বিভিন্ন সংস্থায় তল্লাশি চালাতে গিয়ে এদের খোঁজ পায় তারা। কয়েকটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অলঙ্কার ও নথি আটক করা হয়েছে। ইডি-র খবর, মেহুল চোক্সীর সংস্থা গীতাঞ্জলি জেমস-এ গয়না সরবরাহ করতেন ওই প্রস্তুতকারকরা। গয়নায় বসানোর জন্য ওই সব সংস্থার কাছে পাঠানো হত হিরে-জহরত। প্রায় ৪০০ কোটি টাকার এমন জহরতের ‘স্টক’ তাঁদের কাছে আছে বলে ইডির সন্দেহ।

Advertisement

বিহারে গীতাঞ্জলির শাখাগুলি যৌথ ভাবে চালাতেন ওডিশার ব্যবসায়ী সন্তোষকুমার হোতা এবং মুজফ্ফরপুরের ব্যবসায়ী রবি কুমার। পিএনবি কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরই গা ঢাকা দিয়েছেন দু’জন।

ইডি-র এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পটনায় দু’টি অফিসে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে। তাঁর দাবি, ওই নথিপত্রে রাজ্যের বেশ কয়েক জন ‘প্রভাবশালী’র নামও রয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করা হয়েছে।

Advertisement

গত সপ্তাহে মুজফফরপুরে অভিযান চালানোর সময়ে বিহার পুলিশ কোনও সাহায্য করেনি বলেও অভিযোগ করেছেন ওই ইডি আধিকারিক। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকেও তা জানানো হয়েছে। রাজ্যের বেশ কয়েক জন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তার সঙ্গে সন্তোষ হোতা এবং রবি কুমারের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে দাবি ইডি অফিসারদের।

রাজ্য পুলিশের কর্তারা অবশ্য এ প্রসঙ্গে নীরব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement