জগদীপ ধনখড়। —ফাইল চিত্র।
৪৮ ঘণ্টাও কাটেনি, নাটকীয় ভাবে দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। তার মধ্যেই নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন।
বুধবার এ বিষয়ে কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। কমিশন জানিয়েছে, সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তারাই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন পরিচালনা করবে। তারা ইতিমধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। তা শেষ হলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
কমিশন জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ তৈরির কাজ চলছে। সংসদের দুই কক্ষে, অর্থাৎ লোকসভা এবং রাজ্যসভার নির্বাচিত এবং মনোনীত সাংসদদের নিয়েই ইলেক্টোরাল কলেজ গঠিত হয়। পাশাপাশিই, রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের নাম চূড়ান্ত করা হচ্ছে। অতীতে কী ভাবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়েছিল, সেই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের কাজও চলছে বলে জানিয়েছে কমিশন।
মেয়াদ পূরণের আগেই উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফার ঘটনা একেবারেই বিরল নয়। অতীতেও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সাংবিধানিক পদ থেকে এ ভাবে পদত্যাগ করেছিলেন আরও দুই রাষ্ট্রপতি— ভি ভি গিরি এবং আর বেঙ্কটরমণ।
অনেকের মতে, ধনখড়ের বিদায়ের পর যে উপনির্বাচন হবে, সংখ্যার হিসাবে তাতে সরকার পক্ষের প্রার্থীর জয় অবধারিত। তবে আদর্শগত বিরোধিতার প্রশ্নে নিজেদের প্রার্থী নিশ্চয়ই দেবে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। সে বিষয়ে তারা ভাবনাচিন্তাও করছে বলে বিরোধীদের একটি সূত্রের দাবি।
এ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, নতুন যিনি উপরাষ্ট্রপতি হবেন, তিনি পুরো পাঁচ বছরের জন্যই পদে থাকবেন। ধনখড়ের ছেড়ে দেওয়া দু’বছরের জন্য নয়। স্বাভাবিক ভাবে যেখানে ২০২৭ সালে পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নির্ধারিত ছিল এবং নির্বাচিত সেই উপরাষ্ট্রপতির মেয়াদ হত ২০৩২ সাল পর্যন্ত। কিন্তু এ বার তা পাল্টে পরেরটি হবে ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর। অর্থাৎ ২০৩০ সালে।