করিমগঞ্জে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শন করলেন অসমের বিধায়কদল। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের কয়েক জন উচ্চপদস্থ আমলা। সীমান্তে প্রথমে তাঁরা যান লাতুকান্দি এলাকায়। কাঁটাতারের বাইরে থাকা ভারতীয় কয়েকটি পরিবারের লোকেদের সঙ্গে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা কথাবার্তা বলেন। জানতে চান, বেড়ার বাইরে থাকায় মূলত কী সমস্যা হচ্ছে তাঁদের। উত্তর মেলে— সব চেয়ে বেশি সমস্যা রাতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে। রাতে কাঁটাতার পেরিয়ে রোগীকে মূল ভূখণ্ডে নিয়ে যাওয়া যায় না। বেড়ার বাইরে থাকায় মেয়েদের বিয়ে নিয়ে সমস্যা হয়। তা ছাড়া ওই সব এলাকায় নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। তবে তাঁরা জানান, বিএসএফ বা বিজিবি-র জন্য তাঁদের কোনও অসুবিধা হয় না। বাংলাদেশের দিক থেকেও কেউ এসে তাঁদের সঙ্গে ঝামেলা করে না। উল্লেখ্য, করিমগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় কাঁটাতারের বাইরে এমন প্রায় শতাধিক পরিবার থাকে।
লাতুকান্দি থেকে প্রতিনিধিদল পৌঁছয় মালেগড়টিলায়। সিপাহী বিদ্রোহের শহিদদের সৌধ রয়েছে সেখানে। শ্রদ্ধা জানানোর পর বিধায়কদের সঙ্গে বিএসএফ কর্তাদের বৈঠক হয়। বিএসএফের তরফে তাঁদের জানানো হয়, সীমান্তে মূল সমস্যা বিদ্যুতের অভাব। সে কারণে ফ্লাডলাইট জ্বালাতে হয় জেনারেটরে। রাতে সব সময় আলো জ্বালিয়ে রাখাও সমস্যার। এরপর বিধায়করা যান কুশিয়ারা নদীসীমান্তে। সেখান থেকে তাঁরা ভাঙ্গায় চলে যান।
আজ প্রতিনিধিদলে ছিলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব কে কে মিত্তল, অসম পুলিশের ডিজি (বর্ডার) আর এন সিংহ, বিধায়ক রমেন্দ্রনারায়ণ কলিতা, বীনেন্দ শইকিয়া, আজিজ আহমেদ খান, আমিনূল হক লস্কর, বিজেপি নেতা থৈবা সিংহ।
থৈবাকে ওই প্রতিনিধিদলের অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আমিনূল বলেন, ‘‘সরকার ওই প্রতিনিধিদল গঠন করে দিয়েছে। এটা উন্নয়নের অঙ্গ। বিধায়ক না হলেও তাই তাঁকে দলে রাখা হয়েছে।’’ রমেন্দ্রনারায়ণবাবু বলেন, ‘‘সীমান্তে কোনও সমস্যা আপাত ভাবে নেই। তবে আলোর সমস্যা রয়েছে।’’