সিবিআই-এর ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাব সংসদীয় কমিটির। —প্রতীকী চিত্র।
সাইবার অপরাধের মামলার ক্ষেত্রে রাজ্যের অনুমতি ছাড়াই তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া হোক সিবিআই-কে। এই মর্মে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটি (স্ট্যান্ডিং কমিটি অন হোম অ্যাফেয়ার্স)। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রাধামোহন দাস আগরওয়াল। সম্প্রতি কমিটির ৩০ জন সদস্য বৈঠকে বসেন। সেখানেই স্থির হয় ওই প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, এই কমিটির অন্যতম সদস্য কেরলের ওয়েনাড় কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা।
‘দ্য দিল্লি স্পেশ্যাল পুলিশ এস্ট্যাবলিশমেন্ট (ডিএসপিই) অ্যাক্ট, ১৯৪৬’ অনুসারে সিবিআই গঠিত। এই বিধি অনুসারে, কোনও রাজ্যে তদন্ত শুরু করতে হলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অনুমতি নিতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। কিন্তু ওই সংসদীয় কমিটি এই বিধি সংশোধন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সাইবার অপরাধের মামলায় কোনও রাজ্যের অনুমতি নিয়ে তদন্ত শুরু করতে হবে না সিবিআইকে। এ ক্ষেত্রে কমিটির যুক্তি, তদন্তের আগে রাজ্যের অনুমতি নিতে হলে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। তা ছাড়়া সাইবার অপরাধের তদন্ত সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়টিও কমিটি তাদের প্রস্তাবে উল্লেখ করেছে।
ডিএসপিই আইনের অনুচ্ছেদ ৫ এবং ৬ অনুসারে, রাজ্যের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সেই রাজ্যে তদন্ত শুরু করতে হয় সিবিআইকে। কিন্তু তদন্তকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, আটটি রাজ্য ইতিমধ্যেই সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ফলে তদন্তের গুণমান রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। সাইবার অপরাধের মতো ঘটনায়, যেখানে বহু সময়ই অভিযুক্তরা সীমান্তের ও পার থেকে গোটা বিষয়টি পরিচালনা করছেন, সেখানে তদন্তে জটিলতা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। তার পরেই কমিটির তরফে বিধি সংশোধন করে সিবিআই-এর হাতে অনুমতি সংক্রান্ত ক্ষমতা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও এই প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছেন কেরলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (আইইউএমএল)-এর নেতা হ্যারিস বিরান। তাঁর বক্তব্য, এই প্রস্তাব কেন্দ্র গ্রহণ করলে সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সঙ্গে আপস করা হবে।