পটাসিয়াম সায়ানাইড খাইয়েই খুন করা হয়েছে সোহনকে! জানাল পুলিশ

কলকাতার যুবক সোহন হালদারকে পটাসিয়াম সায়ানাইড খাইয়ে খুন করা হয়েছে বলে জানাল বেঙ্গালুরু পুলিশ। অভিযুক্ত কার্তিক দৌলত সোহনের বাইক ও টাকা ছিনতাইয়ের জন্যই তাঁকে খুন করেছে বলেও দাবি তাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৬ ০৩:৪১
Share:

সোহন হালদার

কলকাতার যুবক সোহন হালদারকে পটাসিয়াম সায়ানাইড খাইয়ে খুন করা হয়েছে বলে জানাল বেঙ্গালুরু পুলিশ। অভিযুক্ত কার্তিক দৌলত সোহনের বাইক ও টাকা ছিনতাইয়ের জন্যই তাঁকে খুন করেছে বলেও দাবি তাদের।

Advertisement

কলকাতার নিউ আলিপুরের বাসিন্দা ৩৫ বছরের সোহন ৯ মাস আগে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন চাকরি নিয়ে। তাঁর ভাই বীরসা জানিয়েছেন, সোহন তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। এর আগে কলকাতায় বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করেছেন। ব্রিটেনে কম্পিউটার নিয়ে পড়াশোনা করার পরে সেখানেও কিছু দিন চাকরি করেন তিনি। বিয়ে করেননি। বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে হইচই করতে ভালবাসতেন।

বেঙ্গালুরু পুলিশের সাউথ জোনের ডেপুটি কমিশনার বোরালিঙ্গিয়া বৃহস্পতিবার ফোনে জানান, ৩ অগস্ট গভীর রাতে খুন হন সোহন। তার পর দু’দিন তিনি অফিসে না যাওয়ায় সহকর্মীরা মোবাইলে ফোন করেন। সাড়া না পেয়ে বীরসাকে ফোন করা হয়। বীরসা জাহাজের কর্মী। তিনি তখন সমুদ্রে ছিলেন। ৫ অগস্ট ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে সোহনের দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে বাবা-মাকে নিয়ে বেঙ্গালুরু পৌঁছন বীরসা। সেখানেই সোহনের শেষকৃত্য হয়। বুধবার ঘটনায় অভিযুক্ত কার্তিক দৌলতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

কিন্তু কেন সোহনকে খুন করল কার্তিক? পুলিশ জানাচ্ছে, সোহন মোটরবাইক চালাতে ভালবালতেন। বেঙ্গালুরুতে এসে প্রথমে একটি বাইক কিনেছিলেন। পরে সেটি বিক্রি করে অন্য বাইক কেনার পরিকল্পনা করেন। ফেসবুকে বাইক বিক্রির বিজ্ঞাপন দেন। সেই সূত্র ধরেই সোহনের সঙ্গে ভাব জমায় কার্তিক। গোড়া থেকেই সোহনের বাইক ও টাকাকড়ির উপরে নজর ছিল তার।

১ অগস্ট সোহনের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় কার্তিকের। ৩ অগস্ট সোহনের ফ্ল্যাটে বসেই রাতে দু’জনে মদ্যপান করেন। খানিকক্ষণ মদ্যপান করার পরে কার্তিক জোর করে সোহনের মুখে সায়ানাইড ঢেলে দেয়। তার পরে বিছানার চাদর দিয়ে সোহনের মুখ চেপে ধরে। সেই রাতে দরজা টেনে দিয়ে কার্তিক বাইক, মোবাইল ও টাকাকড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই ফ্ল্যাট কমপ্লেক্সের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে কার্তিকের ছবি পায়। তার পরে গ্রেফতার করা হয় তাকে।

বীরসা এ দিন বলেন, ‘‘কী ধরনের বিষে সোহনের মৃত্যু হয়েছে, তা ভিসেরা রিপোর্ট পেলে জানা যাবে বলে পুলিশ আমাদের জানিয়েছে।’’ তবে, ডেপুটি কমিশনার বোরালিঙ্গিয়া বলেন, ‘‘কার্তিক স্বীকার করে নিয়েছে যে সোহনকে সায়ানাইড খাইয়েছিল । তবে আমরাও ভিসেরা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন