ছাত্রী খুনের বিচার চেয়ে উত্তাল রাঁচী

রাঁচীর নির্ভয়ার বিচার চাই। এই দাবিতেই সারাদিন উত্তাল থাকল শহর। ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, শহরের বিভিন্ন রাস্তায় মিছিলে হাঁটলেন। বিকেলে রাঁচীর আলবার্ট এক্কা চকে জ্বলল মোমবাতিও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রাঁচী শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:০৮
Share:

জয়া ভারতীর মৃত্যুর প্রতিবাদে রাঁচীর রাস্তায় মোমবাতি মিছিল। শনিবার। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী।

রাঁচীর নির্ভয়ার বিচার চাই। এই দাবিতেই সারাদিন উত্তাল থাকল শহর। ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, শহরের বিভিন্ন রাস্তায় মিছিলে হাঁটলেন। বিকেলে রাঁচীর আলবার্ট এক্কা চকে জ্বলল মোমবাতিও। দাবি উঠল রাজ্যকে শুধু ক্যাশলেস করার উদ্যোগ নিলেই চলবে না, মেয়েদের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করতে হবে।

Advertisement

নির্ভয়া কাণ্ডের চার বছর পূর্তির দিনেই রাঁচীর ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী জয়া ভারতীর উপর অত্যাচার চালিয়ে তাঁকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যে কলেজে জয়া পড়তেন, তারই এক ছাত্রী বিদিশা জৈন আজ জয়ার বাড়ির সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ‘‘চার বছর আগে দিল্লিতে নির্ভয়ার কাণ্ড ঘটেছিল। আমাদের দেশে মেয়েদের নিরাপত্তা তো সেই একই জয়াগায় রয়ে গিয়েছে। খুবই অসহায় বোধ করছি।’’

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে আজ সারাদিন ধরে বুটি মোড়ে জয়ার বাড়িতে ঝাড়খণ্ডের পদস্থ পুলিশ কর্তাদের ভিড় লেগেছিল। আসেন এডিজি (সিআইডি) অজয় কুমার সিংহ, আইজি (সিআইডি) সম্পদ মিনা, ডিআইজি রাঁচী রবিকান্ত ধান, রাঁচীর এসএসপি কুলদীপ দ্বিবেদী, রাঁচীর ডিএসপি (সদর) বিকাশ শ্রীবাস্তব। এই ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস দ্রুত দোষীদের ধরার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তকারী অফিসারেরা ঘটনাশ্তল থেকে বেশ কিছু নমুনাও সংগ্রহ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা ঘরের বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। ডিএসপি বিকাশ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনও আসেনি। তবে মৃতের শরীরের বিভিন্ন অংশে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।’’ তদন্তকারীদের মতে, হয় দুষ্কৃতীরা তাঁকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মেরেছে, অথবা ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় তাঁকে খুন করে পুড়িয়ে মারা হয়েছে।

Advertisement

চাকরি সূত্রে জয়ার বাবা নাগেশ্বর মাহাতো বরকাখানাতে থাকলেও, তাঁদের বাড়ি রাঁচীর সিল্লিতে। আজ জয়ার দেহ সিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। নাগেশ্বরবাবু বলেন, ‘‘ওকে বারবার ফোন করে পাচ্ছিলাম না। ভেবেছিলাম ফোন ফেলে কোথাও গিয়েছে। কিন্তু এ রকম যে ঘটবে, ভাবতে পারিনি। দোষীদের ফাঁসি চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন