ছবি: পিটিআই।
কাশ্মীরের হিমবাহ নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদেরা। ‘ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিকাল অর্গানাইজ়েশন’ (ডব্লিউএমও)-এর তরফে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০২৩-’২৪ সালের মধ্যে এশিয়ার উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়গুলির হিমবাহের ওজন ক্রমশ কমেছে। এই অঞ্চলের মধ্যে পড়ছে কাশ্মীরও। মূলত শীতকালে তুষারপাতের হার কমে যাওয়া এবং গ্রীষ্মের সময়ে অতিরিক্ত গরমই ভূস্বর্গের আবহাওয়া বদলের জন্য দায়ী বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
গত দু’বছর ধরেই গ্রীষ্মের মরসুমে তাপপ্রবাহের শিকার হচ্ছে কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকা। বস্তুত, ২০২৪ সালে প্রবল গরমের কবলে পড়েছিল ভূস্বর্গ-সহ গোটা দেশই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন অস্বাভাবিক গরমের ফলেই হিমবাহগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নানা জায়গায় ছোট নদীগুলি শুকিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে অনন্তনাগের কোলাহোই হিমবাহের। ‘কাশ্মীরের গঙ্গা’ বলে পরিচিত ওই হিমবাহ সেখানকার বেশ কিছু জলাশয়ের উৎসের মূলে রয়েছে। তবে গত কয়েক দশকে এই হিমবাহের আকার কমেছে বহু গুণ।
পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয় সোনমার্গ থাজিওয়াস হিমবাহ নিয়েও বেশ উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদেরা। সোনমার্গের স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এ ভাবে হিমবাহ গলতে থাকলে প্রভাবিত হতে পারে জীবিকা। কাশ্মীরের অনেকেই কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে পারেন তাঁরাও। স্বাভাবিকের থেকে বেশি তাপমাত্রার ফলে নানা সময়ে মানুষজন অসুস্থও হয়ে পড়ছেন। এই প্রসঙ্গে জলবিদ্যা বিশারদ মুস্তাক পির বলেন, ‘‘অবিলম্বে হস্তক্ষেপ না করলে পরিবেশের উপরে এর প্রভাব হতে পারে মারাত্মক।’’
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে