সুড়ঙ্গ কেটে তিহাড় থেকে পালানোর চেষ্টা, রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র

ঠিক যেন কোনও ফিল্মের দৃশ্য। রাতের অন্ধকারে জেলের উঁচু উঁচু পাঁচিল টপকে, আগে থেকে একটু একটু করে খুঁড়ে রাখা সুড়ঙ্গ বেয়ে পগাড় পার অপরাধী। রুপোলি পর্দার এই চেনা কায়দাতেই শনিবার রাতে তিহাড় জেল থেকে পালানোর চেষ্টা করল দুই বন্দি। তবে এক জন সফল হলেও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গিয়েছে অন্য জন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৫ ০২:৫৪
Share:

ঠিক যেন কোনও ফিল্মের দৃশ্য। রাতের অন্ধকারে জেলের উঁচু উঁচু পাঁচিল টপকে, আগে থেকে একটু একটু করে খুঁড়ে রাখা সুড়ঙ্গ বেয়ে পগাড় পার অপরাধী। রুপোলি পর্দার এই চেনা কায়দাতেই শনিবার রাতে তিহাড় জেল থেকে পালানোর চেষ্টা করল দুই বন্দি। তবে এক জন সফল হলেও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গিয়েছে অন্য জন।

Advertisement

অথচ রাজধানীর এই কারাগারে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত নাকি দেশের বাকি জেলগুলির থেকে অনেকটাই বেশি আঁটোসাটো। তাই জেল পালানোর এই ফাঁদ ধরা পড়তেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। কী ভাবে এমনটা ঘটল, তা খতিয়ে দেখে জেল কর্তৃপক্ষকে তাড়াতাড়ি রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই বন্দির নাম ফায়জন ও জাভেদ। দক্ষিণ দিল্লিতে কয়েকটি ছিঁচকে চুরির দায়ে ধরা পড়েছিল জাভেদ। তিহাড়ে এসে তার আলাপ হয় ফায়জনের সঙ্গে। আর তখন থেকেই শুরু হয় পালানোর পরিকল্পনা। দু’জনে মিলে একটা পাঁচিলের নীচ থেকে প্রায় ১৬ ফুট দীর্ঘ সুড়ঙ্গ খোঁড়ে ধীরে ধীরে। শনিবার রাতে ছিল সেই মোক্ষম মুহূর্ত। তেরো ফুট উঁচু দুটো পাঁচিল টপকে তারা ঢোকে সেই সুড়ঙের মধ্যে। শেষ ধাপে ছিল নিকাশি নালা দিয়ে গলে বেরোনোর কাজ। জাভেদ নিকাশি নালা পেরিয়ে গেলেও মাঝ পথে আটকে যায় ফায়জন।

Advertisement

পর দিন সকালে বন্দিদের নামের তালিকা মেলানোর সময় ধরা পড়ে গলদ। তল্লাশি চালাতে গিয়ে জেল কর্তৃপক্ষ হদিস পান ওই লম্বা সুড়ঙ্গের। নালার মুখ থেকে আটকে পড়া ফায়জনও ধরা পড়ে সঙ্গে সঙ্গেই। জাভেদকে খুঁজে বার করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তাদের অনুমান, নালাটির মুখ শেষ হয়েছে ডিজি-র বাসভবনের কাছে। নানান কসরত করে সেখান দিয়ে বেরিয়ে জাভেদ অনায়াসেই মিশে গিয়েছে ভিড়ে।

রাজনীতিবিদ থেকে তাবড় ব্যবসায়ী, রাজধানীর ভিভিআইপি বন্দিদের অনেকেরই ঠিকানা এই তিহাড় জেল। তা নিয়ে এত দিন বিতর্কও কম হয়নি। তিহাড়ের মতো জেল থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে পালানোর এই চেষ্টা নতুন করে বিতর্কে ইন্ধন জুগিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন