শীতের সকালে ঘুম থেকে তুলে স্কুলবাসে উঠিয়ে দিয়েছিলেন সন্তানদের। খানিক পরে ভয়ঙ্কর খবরটা পেয়ে সেই বাসের কাছেই ছুটে যেতে হল বাবা-মায়েদের। গিয়ে দেখেন, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তোবড়ানো বাস। আর বাসে চড়ে যারা স্কুলে যাচ্ছিল, তাদের অনেকেই তখন আর বেঁচে নেই।
উত্তরপ্রদেশের এটা-আলিগঞ্জ রোডে বৃহস্পতিবার সকালে একটি ট্রাক ও স্কুলবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জন খুদের। আহত প্রায় ৪০। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। মৃত্যু হয়েছে বাস চালকের। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ট্রাকের চালক ও খালাসি।
পুলিশ জানাচ্ছে, কুয়াশার ফলে দৃশ্যমানতা কম থাকায় দেওয়ারিয়া থেকে দিল্লিগামী ট্রাকটির চালক রাস্তার মাঝে একটি বাঁক দেখতে পাননি। শেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুলবাসটির সামনে পড়ে ট্রাকটি। এড়াতে পারেননি বাসচালকও। মুখোমুখি সংঘর্ষের পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খালে পড়ে যায় ট্রাকটি। ঘটনাস্থলে আসে উদ্ধারকারীরা।
পুলিশ জানাচ্ছে, একটি বেসরকারি স্কুলের ৪২ আসনের ওই বাসটিতে ছিল ৬৬ জন। সবারই বয়স আড়াই থেকে পাঁচের মধ্যে। সরকারি ভাবে পুলিশ মৃত পড়ুয়ার সংখ্যা ১৫ বললেও স্থানীয় সূত্র বলছে, ওই দুর্ঘটনায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই ঘটনায় বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে প্রশাসন। রাজ্য পুলিশের ডিজিপি জাভেদ আহমেদ বলেন, ‘‘প্রচণ্ড ঠান্ডায় ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩ দিন সব স্কুল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। নির্দেশ না মানায় স্কুলটির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ আরও জানান, ট্রাকটি বিনা অনুমতিতেই ওই রুটে দিল্লি যাচ্ছিল। এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।
মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী।