Murder

Murder: ও এখনও মরছে না কেন, প্রাক্তন প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার আগে বলেছিল প্রেমিক!

বেঁচে আছে কি না, তা স্থির করতে ক্যারোলের কাছে যান জিকো। কিন্তু তখনও প্রাণ ছিল। ফলে আরও ঘাবড়ে যান জিকো। ফের গলা টিপে ধরেন ক্যারোলের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:০৭
Share:

ক্যারোল মিসকিতা এবং জিকো ফাইল চিত্র।

প্রাক্তন প্রেমিকা বিরোধ করেছিলেন প্রাক্তন প্রেমিকের নতুন সম্পর্ক নিয়ে। সেটা মানতে পারছিলেন না প্রাক্তন প্রেমিক। উপযুক্ত ‘শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য প্রাক্তন প্রেমিকাকে তাই খুন করার ছক কষেছিলেন। সম্প্রতি মুম্বইয়ে ক্যারোল মিসকিতা খুনের ঘটনায় উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

Advertisement

অভিযুক্ত প্রাক্তন প্রেমিক জিকো পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, ক্যারোলকে খুনের জন্য দেবেন্দ্র নামে এক সঙ্গী তাঁকে সাহায্য করেছেন। গত ২৫ জানুয়ারির ঘটনা। রাত সওয়া ১টা নাগাদ ক্যারোলকে ডেকে পাঠান জিকো।

বিবারের কাছে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন দেবেন্দ্র। এর পর তাঁরা তিন জনে কেলবা সৈকতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু মাঝপথেই সেই সিদ্ধান্ত বদলে তাঁরা ওয়াঘোবা ঘাটে হাজির হন। জিকোকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন ক্যারোল। এ নিয়ে ওই রাতেই দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর পরই জিকো হঠাৎ ক্যারোলের গলা টিপে ধরেন। ছটফট করতে করতে ক্যারোল স্থির হয়ে যান। এর পর তাঁকে ওই ঘাটে পাথরের মধ্যে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন।

Advertisement

বেঁচে আছে কি না, তা স্থির করতে ক্যারোলের কাছে যান জিকো। কিন্তু তখনও প্রাণ ছিল। ফলে আরও ঘাবড়ে যান জিকো। ফের গলা টিপে ধরেন ক্যারোলের। তখনই বলেন, ‘ও এখনও কেন মরছে না!’ তত ক্ষণে কাছে চলে এসেছিলেন দেবেন্দ্র। তাঁর হাতে থাকা ছুরিটা নিয়ে একের পর এক বুকে পেটে আঘাত করতে থাকেন তিনি। সেই সময় গেঁথে যাওয়া ছুরিটি তুলতে গিয়ে সেটার হাতলটি ভেঙে যায়। তার পর কোনও রকমে সেই ছুরিটি বার করে সমুদ্রে ফেলে দেন জিকো। ক্যারোলের দেহও লোপাট করে দেন।

এর পরই তাঁরা ক্যারোলের সঙ্গে থাকা ফোন এবং ল্যাপটপ নিয়ে ক্যারোলেরই স্কুটি নিয়ে সেখান থেকে সোজা মুম্বই-আমদাবাদ হাইওয়েতে যান। সেখানে ক্যারোলের স্কুটিটা পার্ক করে দেন এবং দেবেন্দ্রর বাইকে চাপে ভিলে পার্লেতে চলে যান। ক্যারোলের ফোন এবং ল্যাপটপটি একটি দোকানে দেন জিকো। দোকানদারকে বলেন সমস্ত তথ্য মুছে ফেলতে ওই দু’টি থেকে। কিন্তু তার পরই ক্যারোলের খুনের বিষয়টি ওই দোকানদার খবরের চ্যানেলের মাধ্যমে জানতে পেরে ফোন এবং ল্যাপটপটি নিয়ে সোজা পুলিশের কাছে হাজির হন। এবং গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানান। সেই সূত্র ধরেই ক্যারোলের হত্যাকারীকে প্রায় দু’সপ্তাহের মধ্যেই খুঁজে বার করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন