Coronavirus

লাহুল-স্পিতিতে করোনাগ্রস্ত আস্ত গ্রাম, রেহাই শুধু এক বাসিন্দার

লাহুল-স্পিতির ডেপুটি কমিশনার পঙ্কজ রাই আনন্দবাজার ডিজিটালকে বলেন, ‘‘এখানে ৪১টা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬-৭টার অবস্থা বেশ খারাপ।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শিমলা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২০ ১৫:৪৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

এ দেশেরই একটি গ্রাম। সেখানে এক জন বাদে সকলেই কোভিডে আক্রান্ত!

Advertisement

হিমাচল প্রদেশের লাহুল উপত্যকার গ্রাম থোরাং। একমাত্র ৫২ বছরের ভূষণ ঠাকুর বাদে সেই গ্রামের সকলেই কোভিড পজিটিভ।

লাহুল-স্পিতি উপত্যকার জনঘনত্ব খুবই কম। তাতে যত জন কোভিডে আক্রান্ত, তা ইতিমধ্যে কপালে ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসনের। এমনিতেই হিমাচলের এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য জনপ্রিয়। বছরভর পর্যটকদের যাতায়াত সেখানে লেগে থাকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এই অঞ্চলে পর্যটকদের যাওয়ার ব্যাপারে কড়াকড়ি করছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার লাহুলের কোনও গ্রামেই পর্যটকদের আসতে দেননি প্রশাসনিক কর্তারা।

Advertisement

রোটাং পাসের কাছাকাছি লাহুলের গ্রামগুলিকে ‘কনটেনমেন্ট জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুক্রবার লাহুল-স্পিতির ডেপুটি কমিশনার পঙ্কজ রাই আনন্দবাজার ডিজিটালকে বলেন, ‘‘এখানে মোট ৪১টা গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। তার মধ্যে ৬ থেকে ৭টা গ্রাম পঞ্চায়েতের অবস্থা বেশ খারাপ। কারণ, সেখানে কোভিড ছড়িয়েছে। সেই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে চিহ্নিত করে পুরোপুরি কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।’’ কী ভাবে এই সংক্রমণ? পঙ্কজের বক্তব্য, ‘‘অক্টোবর এবং নভেম্বরে স্থানীয় বেশ কিছু অনুষ্ঠান হয়। সেখানে জনসমাগম হয় বেশ। এর সঙ্গে অত্যধিক ঠান্ডার জন্য আরও উপর থেকে অনেকেই ওই সব গ্রামে ফিরে এসেছেন। তাঁদের মাধ্যমেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে।’’

আরও পড়ুন: মেঠো কবাডি থেকে সবুজ গল্ফ কোর্সে, নব্য অবতারে ময়দানে নয়া দিলীপ

প্রশাসন সূত্রে খবর, মানালি-লেহ হাইওয়ের পাশের গ্রাম থোরাং-এর মোট বাসিন্দা ৪২ জন। এঁদের বেশির ভাগই প্রবল শীতের হাত থেকে বাঁচতে কুলু থেকে এই গ্রামে ফিরেছেন সম্প্রতি। গ্রামে ফিরে তাঁরা নিজেরাই কোভিড পরীক্ষা করান। তাতে ৪২ জনের মধ্যে ৪১ জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। একমাত্র ব্যক্তি যিনি কোভিডে আক্রান্ত নন সেই ভূষণ ঠাকুর বলেন, ‘‘গত চার দিন ধরে আমি একটা আলাদা ঘরে থাকি। নিজেই রান্না করে খাওয়াদাওয়া করছি। সব নিয়মকানুন মানছি। এই রোগটাকে হাল্কা ভাবে যেন কেউ না নেন।’’

আরও পড়ুন: করোনা চিকিৎসায় রেমডেসিভির ব্যবহার না করার পরামর্শ দিল হু

তবে গ্রামবাসীদের পাশাপাশি পর্যটকদের নিয়েও সতর্ক জেলা প্রশাসন। পঙ্কজের বক্তব্য, ‘‘পর্যটকদের যাতে অসুবিধা না হয় সে দিকে আমরা নজর রেখেছি। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নিরন্তর প্রচার চালানো হচ্ছে স্থানীয় স্তরে। কন্টেনমেন্ট জোন ছাড়া অন্যত্র পর্যটকদের যেতে বাধা নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন