Delhi Blast

দিল্লি বিস্ফোরণ: চিকিৎসক মুজ়াম্মিলের বাড়িতে আটাকলের আড়ালে বিস্ফোরক মজুত করা হচ্ছিল! উদ্ধার বৈদ্যুতিক যন্ত্র

ট্যাক্সিচালকের দাবি, মুজ়াম্মিল তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, এগুলি বোনের বিয়ের উপহার। সূত্রের খবর, যদিও পরে সেই আটাকলের আড়ালেই বিস্ফোরক তৈরি করছিলেন মুজ়াম্মিল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৪৭
Share:

বিস্ফোরণস্থল। ছবি: পিটিআই।

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তথা চিকিৎসক মুজ়াম্মিল শাকিল গনাইয়ের বাড়ি থেকে ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার হয়। শুধু তা-ই নয়, চিকিৎসকের ওই বাড়িতে আটাকলের আড়ালেই চলছিল বিস্ফোরক মজুতের কাজ। সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে তদন্তকারীদের একটি সূত্র।

Advertisement

ওই সূত্রের দাবি, হরিয়ানার ফরিদাবাদে একটি বাড়িভাড়া নিয়েছিলেন মুজ়াম্মিল। সেখানেই এই কাজ চলছিল। এমনকি, ওই বাড়ি থেকে বেশ কিছু বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিও উদ্ধার হয়েছে। ওই সূত্রের খবর, বিস্ফোরক তৈরি জন্য আটাকলে ইউরিয়া গুঁড়ো করা হত। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে ইউরিয়াকে আলাদা করার জন্য আটাকল ব্যবহার করতেন মুজ়াম্মিল। ইউরিয়া আলাদা হয়ে গেলে সেটিকে আবার গুঁড়ো করা হত। সেটিকে আরও মিহি করে গুঁড়ো করার জন্য বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করতেন মুজ়াম্মিল। তার পর ইউরিয়ার সঙ্গে নানা রকম রাসায়নিক মিশিয়ে বিস্ফোরক তৈরির কাজ চলত। দীর্ঘ দিন ধরেই মুজ়াম্মিল এ কাজ করছিলেন বলে সূত্রের খবর।

ঘটনাচক্রে, মুজ়াম্মিল যে বাড়িতে থাকতেন সেটি এক ট্যাক্সিচালকের। তিনি চিকিৎসককে ওই বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআই)-কে ধৃত ওই ট্যাক্সিচালক দাবি করেছেন, চার বছর আগে মু‌জ়াম্মিলের সঙ্গে পরিচয় হয় আল ফালাহ্‌ হাসপাতালে তাঁর ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে। সূত্রের খবর, ট্যাক্সিচালককে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তাঁর বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কয়েক দিনে মধ্যেই আটাকলের যন্ত্রপাতি নিয়ে আসেন সেখানে। কয়েকটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিও ধাপে ধাপে এনেছিলেন।

Advertisement

ট্যাক্সিচালকের দাবি, মুজ়াম্মিল তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, এগুলি বোনের বিয়ের উপহার। সূত্রের খবর, যদিও পরে সেই আটাকলের আড়ালেই বিস্ফোরক তৈরি করছিলেন মুজ়াম্মিল।

প্রসঙ্গত, গত ১০ নভেম্বর দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে গাড়িবোমা বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণে ফরিদাবাদের আল ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েক জন চিকিৎসকের নাম উঠে আসে। তাঁদের মধ্যে এক জন উমর নবিই গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটান। তাতে মৃত্যু হয়েছে উমরের। এই বিস্ফোরণকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল। তাঁকে বিস্ফোরণের আগের দিনই গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর এক চিকিৎসক শাহীন সইদকেও গ্রেফতার করা হয়। আল ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত আরও চিকিৎসক এবং ডাক্তারি পড়ুয়াকেও গ্রেফতার এবং আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement