প্রতীকী ছবি।
ঠিক যেন ‘পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন’ করতে পুলিশ এসেছে বাড়িতে! ফেসবুকের এক প্রতিনিধিকে দোরগোড়ায় দেখে প্রথমে হকচকিয়ে যান দিল্লির বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, মার্ক জ়াকারবার্গের সংস্থার ওই প্রতিনিধি তাঁর আধার কার্ডও দেখতে চান। ফেসবুকে একটি রাজনৈতিক পোস্ট করেছিলেন তিনি। ওই পোস্ট সত্যিই তাঁর কি না, তা পরখ করতে এসেছিল ফেসবুক।
ফেসবুকের এই ‘দাদাগিরি’-তে ক্ষুব্ধ দিল্লিবাসী ওই নেটিজ়েন। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এটা কি সরকারের নির্দেশে? এমন ঘটনা আর কোথাও ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।’’ এ ভাবে লোক পাঠিয়ে আধার কার্ড দেখতে চাওয়া, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর ব্যক্তি পরিসরে আঘাত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। এমন সত্যিই ঘটে থাকলে, তিনি ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন বলে মত সাইবার আইন বিশেষজ্ঞ এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পবন দুগ্গলের। ‘তথ্য প্রযুক্তি আইন’ মোতাবেক, এ ভাবে কোনও পোস্টের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া তার গ্রাহকের ‘ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন’ করতে পারে না বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কোনও পোস্ট ‘আপত্তিকর’ মনে হলে, কিংবা তা নিয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক রিপোর্ট হলে, ফেসবুক বড় জোর ওই প্রোফাইল, পেজ বা ওই পোস্ট মুছে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সরকার যদি ফেসবুককে অনুমতি দিয়ে থাকে, তা হলে ওই ব্যক্তি সরকারের বিরুদ্ধেও মামলা করতে পারেন।
ভুয়ো খবর বা ভোটে শান্তিভঙ্গ করতে পারে এমন পোস্ট ঠেকাতে বেশ কিছু দিন ধরেই নানা পদক্ষেপ করছে ফেসবুক।