ফেসবুক কর্ত্রীর মুখোমুখি মোদী

ফেসবুক, টুইটার... প্রযুক্তির প্রতি তাঁর আকর্ষণ বরাবরের। লোকসভা ভোটের আগে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো হয়ে উঠেছিল তাঁর জনসংযোগের অন্যতম হাতিয়ার। আর প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসার পর তো আলাদা করে ‘পিএমও ইন্ডিয়া’ নামে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেছেন নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিতে আজ ফেসবুকের চিফ অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গের সঙ্গে দেখা হতে এমনই সব প্রসঙ্গ উঠে এল প্রধানমন্ত্রীর মুখে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৪ ০৪:০৩
Share:

মোদীর সঙ্গে শেরিল স্যান্ডবার্গ। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

ফেসবুক, টুইটার... প্রযুক্তির প্রতি তাঁর আকর্ষণ বরাবরের। লোকসভা ভোটের আগে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো হয়ে উঠেছিল তাঁর জনসংযোগের অন্যতম হাতিয়ার। আর প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসার পর তো আলাদা করে ‘পিএমও ইন্ডিয়া’ নামে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেছেন নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিতে আজ ফেসবুকের চিফ অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গের সঙ্গে দেখা হতে এমনই সব প্রসঙ্গ উঠে এল প্রধানমন্ত্রীর মুখে।

Advertisement

শুধু মুখের কথাই নয়। প্রধানমন্ত্রীর কাজেও তার বহিঃপ্রকাশ মিলেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বৈঠক শেষ হতেই তিনি ফেসবুকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করে দেন ফেসবুকে। লেখেন, “শেরিল স্যান্ডবার্গের সঙ্গে বৈঠক খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে। উনি বলেছেন, আমাদের দেশ ওঁদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রচুর লোক ফেসবুক করেন এখানে।” মোদীর দেওয়ালে ছবি পড়তে না পড়তেই এক ঘণ্টায় ২৫০০০ লাইক। শেয়ারও হাজার খানেক। শেরিলও স্টেটাস আপডেট করে ফেলেন “আজ মোদীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলাম!”

দীর্ঘদিন হল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে মজেছেন মোদী। ২০০৯ সালে ফেসবুকে প্রথম আসা। তার পর ধীরে ধীরে ওই সাইটগুলোকে প্রচারের অস্ত্র করে তোলেন তিনি। ভোটে জেতার পর মন্ত্রীদেরও পরামর্শ দেন, ফেসবুককে কাজে লাগান। যাঁরা এ সবে তেমন সড়গড় নন, নির্দেশ দেন শিখে নেওয়ার। আজ শেরিলের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যথেষ্ট ফেসবুক করি বলেই ওঁকে (শেরিলকে) বলেছি, সরকারি কাজ কিংবা সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ রাখতে কত ভাবে সাহায্য করে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। দেশে আরও বেশি করে পর্যটক টানতেও ফেসবুক ব্যবহার করা যেতে পারে।”

Advertisement

শেরিল কী বলছেন?

জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতাদের তালিকায় ফেসবুকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে উচ্ছ্বসিত তিনিও। জানালেন, ১ কোটি ৮০ লক্ষেরও বেশি লোক প্রতিদিন মোদীকে ফলো করেন ফেসবুকে। তাঁর আগে রয়েছেন শুধুমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা। বললেন, “প্রধানমন্ত্রীর মাথায় মায়ের আশীর্বাদের হাত, ওই ছবিটা অসাধারণ। আমার সব চেয়ে প্রিয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন