লিয়োনেল মেসির অনুষ্ঠানের দিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের ছবি। — ফাইল চিত্র।
লিয়োনেল মেসির অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা শুরু করেন কারা? গ্যালারির কোন জায়গা থেকে প্রথম বোতল ছোড়া শুরু হয়? কাদের কাছে গ্রাউন্ড অ্যাক্সেস কার্ড ছিল? এ বার এ সব প্রশ্নের আরও গভীরে ঢুকতে চাইছে রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৩ ডিসেম্বর মেসির অনুষ্ঠানে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানতে ইতিমধ্যেই স্টেডিয়ামের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই দিন স্টেডিয়ামে কত জন দর্শক ছিলেন, কারা প্রথম বোতল ছোড়েন, সে সব জানার চেষ্টা চলছে। জানা গিয়েছে, স্টেডিয়ামের নীচের টিয়ার থেকে প্রথম বোতল ছোড়া হয়। তার পর একে একে বোতল ছুড়তে শুরু করেন বাকিরাও। যে ব্লক থেকে বিশৃঙ্খলার সূত্রপাত হয় যুবভারতীতে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সেই ব্লকও চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সিটের এক সদস্য পীযূষ পাণ্ডে বলেন, ‘‘আমরা সিসি টিভির ফুটেজ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখছি। তদন্তে অগ্রগতি জানতে পারবেন।’’
মেসির অনুষ্ঠানের দিন কত জনের কাছে গ্রাউন্ড অ্যাক্সেস কার্ড ছিল, কারা সেই কার্ড দিয়েছিলেন, যুবভারতীকাণ্ডের পর সে সব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যাঁরা সে দিন মাঠে ছিলেন, সবার কাছে গ্রাউন্ড অ্যাক্সেস কার্ড ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে সিট। বুধবার সকালে যুবভারতীতে যায় তদন্তকারী দল। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর তাঁরা স্টেডিয়াম লাগোয়া বিধাননগর কমিশনারেটের অফিসে যান। কিছু ক্ষণ সেখানে থাকার পর বেরিয়ে যান তাঁরা। যুবভারতী ভাঙচুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ধরপাকড় চলছে। অন্য দিকে, বুধবার যুবভারতী ঘুরে দেখেছেন ফরেন্সিক দলের সদস্যেরাও। স্টেডিয়াম ঘুরে পড়ে থাকা জলের বোতল-সহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। স্টেডিয়ামের ভাঙা জায়গা এবং একাধিক অংশের ছবি তোলা হয়েছে। সেই সব নমুনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
যুবভারতীকাণ্ডে গঠিত অনুসন্ধান কমিটির পরামর্শ মেনে মঙ্গলবার সিট গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ। মেসির অনুষ্ঠানে কেন বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে বিশেষ ওই দল। দলে রয়েছেন রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা পীযূষ পাণ্ডে, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম, এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার এবং ব্যারাকপুর পুলিশের কমিশনার মুরলীধর। বুধবার শোনা গিয়েছে, সিটের সদস্যসংখ্যা চার থেকে বাড়িয়ে আট করার কথা ভাবা হচ্ছে। ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিকও সিটে থাকছেন বলে খবর।