ফেরানোর পথ সুদীর্ঘ, ‘মন্তব্যহীন’ নীরব মোদী

নীরব মোদী বিলেতের মাটিতে গ্রেফতার হতে পারেন কয়েক দিনের মধ্যে। শীঘ্রই শুরু হবে প্রত্যর্পণ মামলা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৯ ০৪:৩৩
Share:

নীরব মোদীর এক কথা।

Advertisement

বিলেতের মাটিতে গ্রেফতার হতে পারেন কয়েক দিনের মধ্যে। শীঘ্রই শুরু হবে প্রত্যর্পণ মামলা। ব্রিটেনের পরে ভারতীয় একাধিক সংবাদ চ্যানেলের সাংবাদিকেরা পথে পেয়ে তাঁর দিকে প্রশ্নের পর প্রশ্ন ছুড়েছেন এ সব নিয়ে। জানতে চেয়েছেন তাঁর আগামী পরিকল্পনার কথা, ব্রিটেনে তার নয়া ব্যবসাপাতির প্রসঙ্গ। ক্যামেরার ফ্রেম থেকে বেরোতে ইতিউতি পথ খুঁজতে হয়েছে তাঁকে। আর তার ফাঁকে সব প্রশ্নে বারবার একটিই জবাব দিয়েছেন নীরব, ‘‘কোনও মন্তব্য নয়।’’

ভারতে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ ফাঁকি দিয়ে লন্ডনে ঘাঁটি গাড়া এই ধনকুবের সব প্রশ্নে নীরব থাকার নীতি নিলেও ভারতে ভোটের বাজারে এখন নীরবকে নিয়ে বিস্তর চর্চা। গত কাল কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ঘোষণায় আশা তৈরি হয়েছে শীঘ্রই ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত নীরবকে দেশে ফেরানো সম্ভব হবে। ব্রিটেনের আদালত তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করার খবরে চাঙ্গা বিজেপি ঘরোয়া ভাবে এমন প্রচারও শুরু করেছে যে, লোকসভা ভোটের আগেই তাঁকে দেশে ফেরাতে পারবে সরকার। তাদের মতে, যা হবে ‘চৌকিদার নরেন্দ্র মোদীর’ মুকুটে আরও একটি পালক।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, অদূর ভবিষ্যতে তো নয়ই, নীরবকে ফেরানো কবে সম্ভব হবে তা এখনও ঘোর অনিশ্চিত। তার কারণ আর কিছু নয়, ব্রিটেনের দীর্ঘমেয়াদি আইনি পথ পরিক্রমা। আগামি সপ্তাহে নীরবকে ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেশ করা হবে। শুরু হবে প্রত্যর্পণের মামলা। রায় নাপসন্দ হলে নীরব দৌড়তে পারবেন হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে। দরবার করতে পারেন ব্রিটিশ মন্ত্রিসভাতেও। সেখানেও যথেষ্ট কালক্ষয়ের সম্ভাবনা। এর মাঝে জামিনও পেতে পারেন তিনি। সিবিআই এবং ইডি সূত্রে আজ বলা হয়েছে, নীরবের প্রত্যর্পণের সব চেষ্টা চলছে। লন্ডনে মামলার গতিপ্রকৃতির উপরে নজর রাখছে তারা।

আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত বিজয় মাল্যের ক্ষেত্রেও শীঘ্রই দেশে ফেরানো হবে বলে দীর্ঘদিন ধরে হাওয়া তুলে এসেছে শাসক শিবির। সম্প্রতি ভারতে ঘুরে গেলেন ব্রিটেনের এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অফিসের প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড। মাল্য ও ব্রিটেনে চলে যাওয়া অন্য আর্থিক অভিযুক্তদের সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ফিল্ড বলেন, ‘‘এ সব আইনি প্রক্রিয়া। ভারত ও ব্রিটেন উভয় দেশেই আমরা যা চাই, তার তুলনায় বেশি সময় লাগে। ব্যক্তি স্বাধীনতার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে আমরা সকলেই সম্মান করি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন